Malda: নেই স্কুল বাড়ি! খোলা আকাশের নীচেই চলছে ক্লাস এই গ্রামে
- Published by:Soumabrata Ghosh
- hyperlocal
Last Updated:
ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়, নানা প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে নয় বছর ধরে কখনো গাছ তলায় আবার কখনো নির্মীয়মাণ বাড়ির মধ্যে খুদেদের ক্লাস নিয়ে চলেছেন তিন জন শিক্ষক।
#মালদহ : ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়, নানা প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে নয় বছর ধরে কখনো গাছ তলায় আবার কখনো নির্মীয়মাণ বাড়ির মধ্যে খুদেদের ক্লাস নিয়ে চলেছেন তিন জন শিক্ষক। সরকারি অনুমোদিত প্রাইমারি স্কুলের ভবন আজো নির্মাণ হয়নি। ভবন না থাকায় স্কুলের প্রশাসনিক কোন কাজ হয়না। কোনরকমে ক্লাস টুকু নিচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। একাধিকবার প্রশাসনিক কর্তাদের নজরে নিয়ে আসা হয়েছে বিষয়টি। তবে সমস্যা সমাধানে আজো এগিয়ে আসেনি কেউ। বছর পর বছর ধরে তাই বিভিন্ন সমস্যাকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে গাজোলের আমতলা প্রাথমিক স্কুল। গ্রামের স্থানীয় এক কৃষকের বাড়িতে চলছে নিয়মিত ক্লাস। কখনো নির্মীয়মান বাড়ির ভেতরে আবার কখনো গাছ তলায় এইভাবে দিনের পর দিন ক্লাস চলছে। মিড ডে মিলের রান্না হয় কৃষকের হেঁসেল ঘরে। মালদহের গাজোল থানার আদিনা জামতলা গ্রামে ২০১২ সালে নতুন একটি প্রাইমারি স্কুল অনুমোদিত পায়। গ্রামের একটি সরকারি খাস জমিতে স্কুল ভবন তৈরির পরিকল্পনায় প্রশাসন।
২০১৪ সালে একজন শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয় স্কুলে। শুরু হয় প্রাথমিক স্কুলের পঠন-পাঠন। প্রস্তাবিত স্কুল তৈরির জায়গাটি গ্রামের এক বাসিন্দার দখলে রয়েছে। প্রথমদিকে রাজি থাকলেও পরে তিনি জমিটি ছাড়তে রাজি হননি। আইনি পথে হাটে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে বিষয়টি। স্কুল তৈরির টাকা বরাদ্দ করার পর কাজ শুরু না হওয়ায় টাকাও ঘুরে চলে গিয়েছে। বর্তমান স্কুলের তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নিজের হাতে আইন! মাদক কারবারী অভিযোগে যুবককে গণধোলাই স্থানীয় বাসিন্দাদের!
স্কুল ভবন নির্মাণের দাবিতে বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে সমস্যা সমস্যাতেই থেকে গিয়েছে। গাজোল আমতলা প্রাথমিক স্কুলে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৬২ জন। একটি আম গাছের নিচে পলিথিনের উপর বসে ক্লাস চলে। স্কুল ভবন না থাকায় খুদে পড়ুয়াদের ওপর বাড়তি নজরদারি চালাতে হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের। খবর নেই তাই প্রভাতের সমস্ত নথিপত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষা সামগ্রী সমস্ত কিছু ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখতে হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ চালের উপর জিএসটি বসানোর প্রতিবাদে আন্দোলনে বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশন
এমনকি পড়ুয়াদের সমস্ত নথিপত্রের কাজ তিনি বাড়িতেই করেন বাধ্য হয়ে। গ্রামের এক কৃষকের সহযোগিতায় চলছে এই স্কুলটি। গ্রামের ক্ষুদে পড়ুয়ারা পড়াশোনা শিখতে পারবে বলেই নিজের বাড়িতে নয় বছর ধরে স্কুল চালাচ্ছেন। তিনি বলেন যতদিন স্কুল এখানে চলবে তার কোন অসুবিধা নেই। কারণ তার নিজের গ্রামের খুদেরা পড়াশোনা শিখে মানুষ হবে এখান থেকেই।
advertisement
Harashit Singha
Location :
First Published :
July 18, 2022 11:33 PM IST