গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষিজীবী। উৎপাদিত ফসল থেকে কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী মাথায় করে নিয়ে যেতে হচ্ছে। রাস্তা তৈরির কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই বর্ষার মরশুমে ভেঙে গিয়েছে । বর্তমানে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে মালদহের মানিকচক ব্লকের চৌকি মিরদাদপুর পঞ্চায়েতের বাঙালচক গ্রামের বাসিন্দাদের। বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন: শালা-জামাইবাবুতে ষড়যন্ত্র! মালদহের ঘটে যাওয়া কাণ্ড দেখে একেবারে চমকে যাবেন
advertisement
মালদহের মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে প্রায় ২৫ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা ব্যায়ে মানিকচকের বাঙালচক গ্রামে সাড়ে ৭০০ মিটার কংক্রিট ঢালাই রাস্তা তৈরি হয়। প্রায় এক বছর আগে এই রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাজ শেষ হওয়ার মাস কয়েক পরই মাটি ধসে যায় ওই রাস্তার।তাঁর জেরে প্রায় ৩০ মিটার রাস্তা নেই। মাঝে রাস্তা ভেঙে পড়ায় গ্রামে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না। মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনিক দফতরে অভিযোগ জানিয়ে মেলেনি কোনও সুরাহা। এমনটাই দাবি গ্রামের বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: জোর করে ভিনরাজ্যে কাজে নিয়ে যাচ্ছিল ঠিকাদার! ট্রেনে ওঠার পর থেকেই নিখোঁজ যুবক
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছেমহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত প্রকল্পে এই রাস্তা নির্মান করা হয়।স্থানীয়দের মতে, যোগাযোগের মাধ্যম বলতে এই একটি রাস্তা। স্কুল পড়ুয়া থেকে রোগী এই রাস্তার উপর দিয়েই যেতে হয়। বছরের অন্যান্য সময় ভাঙা রাস্তার পাশ দিয়ে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষার সময় কঠিন অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়।রাস্তা ভাঙা থাকায় গ্রামে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে বা প্রসূতিদের নিয়ে যাওয়ার সময় সমস্যায় পড়তে হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এই রাস্তার কাজে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ভেঙে পড়েছে রাস্তা।
এই বিষয়ে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মন্ডল বলেন, এই রাস্তার অভিযোগ এখনও পাননি। অভিযোগ পেলেই খতিয়ে দেখা হবে। ঠিকাদার সংস্থা কাজ করেছে সে বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে। যদি কোন রকম দুর্নীতির সামনে আসে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে বাসিন্দারা চাইছেন প্রশাসন তদন্তের পাশাপাশি দ্রুত রাস্তাটি মেরামতি করতে এগিয়ে আসুক। এতে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে গোটা গ্রাম।
হরষিত সিংহ





