জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকেও বহু মানুষজন চিকিৎসা করাতে আসেন। রোগী ভর্তি হওয়ার পর অনেক সময় হাসপাতালেই থাকতে হয় রোগীর পরিজনদের। তবে বিশেষ কোনও রকম ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতাল ভবনের বাইরে রাস্তায় কিংবা বারান্দার উপর রাত্রিযাপন করতে হয় রোগীর পরিজনদের। সেই কথা মাথায় রেখেই আরামদায়ক পরিষেবার জন্য প্রায় ৬ বছর আগে এই ভবনটি নির্মাণ হয়। তবে আজও রোগীর পরিজনদের জন্য এই রাত্রি নিবাস খুলে দেওয়া হয়নি।
advertisement
হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় মানিক পোদ্দার বলেন, “গুরুতর অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে থাকতে খুব অসুবিধা হয়। রোগীর পাশে থাকার জন্য কষ্ট করে রাস্তার উপর এবং বাইরে ঘুমোতে হয়। এই রাত্রি নিবাস ভবনটি চালু হলে সেই সমস্যাটি মিটবে।”
রাত্রি নিবাসের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার জন্য ভবনটির নীচে খোলা হয়েছে মা ক্যান্টিন। যেখানে অল্প খরচে রাত্রিযাপন এবং খাওয়াদাওয়া করতে পারবেন রোগীর পরিজনরা। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানান, “বেশ কিছু কাজ বাকি থাকার কারণে রাত্রি নিবাস বন্ধ রয়েছে। কাজ সম্পন্ন হলে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে চালু করা হবে। পরিচালনার জন্য খুব শীঘ্রই রাত্রি নিবাস ভবনটি এক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আশঙ্কাজনক রোগীর ক্ষেত্রে জেলায় একমাত্র ভরসা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার মানুষজন উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য এখানে ভিড় জমান। তবে চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত মিললেও রোগীর সঙ্গে আসা পরিজনদের রাত্রিযাপনের ক্ষেত্রে আজও কষ্ট করতে হয়। তাঁদের সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি এই ভবনটি নির্মাণ হওয়ার পরও চালু না হওয়ায় আজও রোগীর পরিজনদের বারান্দায় এবং বাইরে রাত কাটাতে দেখা যায়। তাই দ্রুত এই রাত্রি নিবাস ভবন চালু করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।





