লাগাতার ভাঙনের জেরে ইতিমধ্যে ঘর ছাড়া বহু সাধারণ পরিবার। তাদের পুনর্বাসনসহ ভাঙন রোধের কাজ ও জরুরী ভিত্তিক কন্ট্রোল রুম খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় এদিনের বৈঠকে। মন্ত্রী ছাড়াও এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া সহ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তা আধিকারিকেরা। ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত পুনর্বাসন ও মোকাবিলা কাজের নির্দেশ দেন জেলাশাসক। মালদহের গঙ্গা ফুলহার নদীর তীরবর্তী পাঁচটি ব্লকে প্রতি বছর নদী ভাঙ্গন লক্ষ্য করা যায়। ভাঙনের কবলে পড়ে প্রতিবছর ঘর ছাড়া হয়ে থাকে বহু পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অভিনব পুষ্টি দিবস! অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রেই শিশুর অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান
সরকারি উদ্যোগে কিছু পরিবার পুনর্বাসন পেলেই অধিকাংশ পরিবার পুনর্বাসন থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। মালদহের কালিয়াচক- ২ নম্বর ও ৩ নম্বর ব্লক, মানিকচক, রতুয়া-১ ও ২ নম্বর ব্লকে ভাঙ্গনের জেরবার বহু সাধারণ মানুষ। চলতি মরশুমে মালদহ জেলায় বৃষ্টিপাত না হলেও উত্তর-পূর্ব ভারতে লাগাতার বর্ষণের জেরে গঙ্গা ফুলহারের জল বাড়তে শুরু করেছে। আর তাতেই ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে মালদহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। কখনো মানিকচক কখনো রতুয়া কখনো আবার বৈষ্ণবনগর এলাকায় ভাঙন শুরু হচ্ছে। ভাঙনের জেরে গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার মানুষের রাতের ঘুম উড়েছে। প্রতিবছর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙ্গন হলেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোন কাজ করা হয় না এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুনঃ উদ্যান পালন সপ্তাহের সূচনা, বিভিন্ন ফল ও ফুল গাছের চারা বিতরণ
ভাঙন কবলিত এলাকায় সঠিক কাজের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠকের পর মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মালদহের ভাঙন সমস্যা জাতীয় বিপর্যয়। শুধুমাত্র রাজ্য সরকার এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। এর জন্য প্রয়োজন কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য। আমরা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যতটা পারছি কাজ করছি। কিন্তু গঙ্গার বিশাল প্রাকৃতিক এই বিপর্যয় মোকাবিলা সম্ভব নয় রাজ্য সরকারের দ্বারা। তাই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে উভয়ভাবে এই কাজে এগিয়ে আসলে সাধারণ মানুষ অনেকটাই মুক্তি পাবে।
Harashit Singha