TRENDING:

Malda: তীরন্দাজিতে জুয়েলের আগামী লক্ষ্য বিশ্বকাপ, চলছে জোর প্রস্তুতি

Last Updated:

রাজ্য ও জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় আগেই সাফল্য পেয়েছিল। এবার এশিয়া কাপ তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় দলগত বিভাগে সোনা জিতেছেন মালদহ জেলার সোনার ছেলে জুয়েল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মালদহ : রাজ্য ও জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় আগেই সাফল্য পেয়েছিল। এবার এশিয়া কাপ তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় দলগত বিভাগে সোনা জিতেছেন মালদহ জেলার সোনার ছেলে জুয়েল। গত কয়েকদিন আগেই বাড়ি ফিরে এসেছে। ১৬ বছরের জুয়েল সরকারের বাড়ি গাজোলের পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত ধোবাপাড়া গ্রামে। বাবা নিশম সরকার পেশায় কৃষক ও মা নিরতি সরকার গৃহবধূ।স্থানীয় ভবানীকোঠা শশী বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছে জুয়েল। এশিয়া কাপ জয়ের পর এখন তার লক্ষ বিশ্বকাপ খেলা। ছোট থেকেই তির চালানোর শখ জুয়েলের। ২০১৬ সালে গাজোলের তিরন্দাজি প্রশিক্ষক শ্রীমন্ত চৌধুরীর নজরে পড়ে। শ্রীমন্তবাবু গাজোলের বিএসএ ময়দানে জুয়েলকে তিরন্দাজির প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার গিয়ে কঠোর অনুশীলন করত সে। সাফল্য আসে ২০১৮ সালে। জলপাইগুড়িতে ১০ দিনের ট্রায়াল শেষে সে ঝাড়গ্রাম বেঙ্গল আর্চারি আকাদেমিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। এখন সেখানেই থাকে সে।
advertisement

সেখান থেকেই ইরাকে আয়োজিত এশিয়া কাপ আর্চারি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। ইরাকে আয়োজিত এশিয়া কাপ আর্চারি প্রতিযোগিতার ফাইনালে দলগতভাবে বাংলাদেশকে হারিয়ে সোনা জেতে ভারত। ওই দলে ছিলেন জুয়েল। এখন আন্তর্জাতিক স্তরের সঙ্গে বিশ্বকাপে সফল হওয়াই লক্ষ্য জুয়েলের। বাবা-মা ছেড়ে প্রশিক্ষণে মনোযোগ দিচ্ছে। মাঝেমধ্যে মন খারাপ করলে বাড়ি আসে ঘুরতে।

আরও পড়ুনঃ ভাল্লুক নিয়ে গ্রামে গ্রামে খেলা! বন দফতরের জালে পাকরাও তিন

advertisement

তবে এখন জুয়েলের একটাই লক্ষ্য আগামীতে বিশ্বকাপ খেলে আরো বেশি সাফল্য অর্জন। জুয়েলের প্রথম প্রশিক্ষক শ্রীমন্ত চৌধুরী বলেন, আমি বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ছেলেমেয়েদের তিরন্দাজির জন্য তুলে আনতাম। তাদের মধ্যে জুয়েলের আগ্রহই ছিল সবচেয়ে বেশি। তখন আমার কাছে আধুনিক ধনুক কিংবা তির ছিল না।

আরও পড়ুনঃ পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে দিনেদুপুরে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ!

advertisement

বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করে সেসব কিনে ওদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি। ২০১৮ সালে জুয়েলের সঙ্গে আরও সাতজন ঝাড়গ্রামে আকাদেমিতে যাওয়ার সুযোগ পায়। ওখানে আধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে ওরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। জুয়েলের সাফল্যে আমি গর্বিত।

Harashit Singha

বাংলা খবর/ খবর/মালদহ/
Malda: তীরন্দাজিতে জুয়েলের আগামী লক্ষ্য বিশ্বকাপ, চলছে জোর প্রস্তুতি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল