এমনকি সরকারি কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে সেই টাকা। সেই দুর্নীতির তদন্তের দাবি দীর্ঘদিনের। বঞ্চিত উপভোক্তা ফজলুর রহমান বলেন, বন্যায় আমাদের সর্বস্ব নষ্ট হয়েছিল। ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম প্রশাসনের কাছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। বন্যায় যাদের বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয়নি তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সে সময় প্রশাসন। তাই ক্ষতিপূরণের দাবিতে আমরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দারা ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে সরকারি দফতরে ৪০ বার আরটিআই করেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অবশেষে চালু হওয়ার পথে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল! খুশির পড়ুয়ারা
কিন্ত কোনো তথ্য এখনো পায়নি। তালিকা প্রকাশের দাবিতে প্রায় পাঁচ মাস আগে ব্লকের সামনে ধর্নায় বসে বাম- কংগ্রেস। একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিডিও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নামের তালিকা দিলেও কিছু অসংগতি দেখা যায়। একাউন্ট ও আই.এফ.এস.সিকোড নম্বর মুছে দেওয়া হয়। বিডিওর দেওয়া ৯০৩ পাতার তালিকায় দেখা যায় পঞ্চায়েত সমিতির ২৬ জন সদস্য ও তার পরিবারের নামে একাধিক বার টাকা ঢুকেছে। এই মর্মে বাম কংগ্রেস কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে।
আরও পড়ুনঃ মালদহ টাউন স্টেশন থেকে চেন্নাই পর্যন্ত নতুন ট্রেনের দাবি
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের ৯ টি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৪৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাজ্য সরকার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে তেত্রিশ শো ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সত্তর হাজার করে টাকা দেওয়ার জন্য তিন ধাপে প্রায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি না পেয়ে বেশিরভাগই টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা বলে অভিযোগ।
সরকারি আধিকারিকদের যোগসাজশে এই কর্মকাণ্ড বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে বিক্ষোভকারী কংগ্রেস নেতা আবুল কাশেম বলেন, বহু সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়া হয়নি। আমরা বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। তারপরও কোন সমাধান হয়নি। তাই আমরা আন্দোলনের পথে। চাঁচল মহকুমা শাসক কল্লল রায় বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকে তদন্ত শুরু হয়েছে ,২ নং ব্লকেও তদন্ত শুরু হবে।
Harashit Singha






