কিন্তু তাঁর এই দীর্ঘ পরিশ্রমে কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল লকডাউন। দীর্ঘ কুড়ি মাস বন্ধ ছিল বিদ্যালয়ের গেট। তবে সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায়, শুরু হয়েছে পঠন-পাঠন। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু এই কঠিন সময়ে বহু ছাত্র-ছাত্রী স্কুল থেকে আবার দূরে চলে গিয়েছে। কেউ চলে গিয়েছে বাইরে কাজে। কেউ আবার অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য স্কুলে যেতে পারছেনা।
advertisement
কিন্তু কলিমুল হক সেই সমস্ত পড়ুয়াদের আবার বিদ্যালয় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছেন। আবার পথে নেমেছেন তিনি। পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন তাদের স্কুলমুখী করতে। অভিভাবকদের কাছে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইছেন। পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিচ্ছেন চকোলেট। ফের ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করছেন অভিভাবকদের কাছে।
দীর্ঘ সময় পর স্কুল খুলেছে। তারই মধ্যে সরকারি স্কুল কলেজগুলিতে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার কম। তাই রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক তথা দুর্গাপুরের নেপালি পাড়া হিন্দি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ডক্টর কলিমুল হক অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান। কথা বলেন পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের সঙ্গে। তাদের কাছে জানতে চান কি কারণে এই অনুপস্থিতি।
অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা জানান, স্কুলের পোশাক, জুতো ও ব্যাগ নিয়ে সমস্যার কথা। তবে সেই সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক কালিমুল হক। তিনি এই বিষয়ে জানিয়েছেন, "যে সমস্ত পড়ুয়ারা স্কুল আসছে না, তাদের তালিকা তৈরি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলছি। অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে অবগত করার চেষ্টা করছি। পড়ুয়াদের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করছি। স্কুলে এসে পড়াশোনা করে ফের আগের মতো স্বাভাবিক ছন্দে ফিরুক, এই চেষ্টাই চলছে।"