IIT Kharagpur: পড়তে এসেছিলেন খড়গপুর আইআইটি-তে, হয়ে গেলেন ডেপুটি ডিরেক্টর! সাদামাটা হলেও বহু গুণের অধিকারী, তিনিই আজ সবার গর্ব
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
খুবই সাদামাটা অধ্যাপিকা রিন্টু ব্যানার্জি। একজন অধ্যাপিকা হিসেবেই নিজেকে পরিচিতি দিতে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তবে তিনি শুধুমাত্র অধ্যাপিকা নয়, একদিকে প্রশাসনিক অধিকর্তা অন্যদিকে এক বিজ্ঞানী।
খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: প্রথমে সাধারণ একজন পড়ুয়া, পরবর্তীতে গবেষক, এরপর অধ্যাপনা অবশ্য তারপর প্রশাসনিক প্রধান। বাংলার পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশার এই প্রতিভাবান মেয়ে চড়ায় উতরায় পথ পেরিয়ে আজ সফলতার শীর্ষ চূড়ায়। বরাবরই লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন। সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বড় হয়ে ওঠা, তবে অবশ্য ছোট থেকেই মেধাবী তিনি। শুধু প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন নয়, তিনি একজন বিজ্ঞানী। তার গবেষণা ও উদ্ভাবনী ভাবনা দেশকে এগিয়ে দিয়েছে সফলতার শীর্ষ ক্ষেত্রে। পড়াশোনা করে শুধু নিজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় নয়, শিক্ষকই তাকে ভাবিয়ে তুলেছেন, মানুষের হয়ে এগিয়ে আসা, মানুষের জন্য কিছু করা পড়াশোনা ও শিক্ষিত হওয়ার ফল।
ছোটবেলা থেকেই বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় বড় হয়ে ওঠা। ওড়িশার রাউরকেল্লাতে জন্ম তাঁর। ছোটবেলা থেকেই খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপন উপভোগ করতে পারেননি। তবে বরাবরই তিনি পড়াশোনায় বেশ মেধাবী ছিলেন। শিক্ষার্থী জীবন থেকে আজ আইআইটি খড়গপুরের মতো প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ডিরেক্টর। একদিকে এত বড় দায়িত্ব সামলান অন্যদিকে নিজের উদ্ভাবনী আবিষ্কার দেশের কাছে নিজেকে করেছেন প্রতিষ্ঠিত। তিনি আইআইটি খড়গপুরের মহিলা ডেপুটি ডিরেক্টর অধ্যাপিকা রিন্টু ব্যানার্জি। ছোট থেকেই রাউরকেল্লাতে পড়াশুনো, তবে পিএইচডি করতে সেই খড়গপুরে আসা। প্রথমে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যোগ দেন আইআইটি খড়গপুরে। এরপর ফ্যাকাল্টি, তারপর অধ্যাপিকা। বর্তমানে তিনি আইআইটি খড়গপুরের ডেপুটি ডিরেক্টর পদে আসীন রয়েছেন। তবে জানেন, তা নিত্যনতুন গবেষণা দেশের কাছে করেছে প্রতিষ্ঠিত। মিলেছে একাধিক সম্মান। দেশের এই মেয়ের ভাবনা, বিজ্ঞানে নতুন আবিষ্কার, শিক্ষার্থীদের কাছে অধ্যাপিকা রিন্টু রোল মডেল।
advertisement
advertisement
অধ্যাপিকা রিন্টু ব্যানার্জী পশ্চিম মেদিনীপুরের আইআইটি খড়গপুরের পি.কে সিনহা সেন্টার ফর বায়োএনার্জি অ্যান্ড রিনিউয়েবলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান এবং বর্তমানে চেয়ারপার্সন। গত তিন বছর ধরে তিনি আইআইটি খড়গপুরের কৃষি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের (Agriculture and Food Engineering) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, আইআইটি খড়গপুরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিন (Dean of Research and Development) হিসেবে এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, উদ্ভাবনী ও টেকসই প্রযুক্তি কেন্দ্রের (Centre for Rural Development, Innovative and Sustainable) প্রধান হিসেবে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর উদ্বাবনী ভাবনা ও আবিষ্কার কেবল ভারতেই নয় আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত। জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের আর্থিক ও বৈজ্ঞানিক জগতে অসামান্য অবদান জন্য ICAR-র অসামান্য মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি ‘পাঞ্জাবরাও দেশমুখ পুরস্কার’- এ ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও, ভারতের বায়োটেক রিসার্চ সোসাইটি দ্বারা ‘সেরা মহিলা জীববিজ্ঞানী’, অ্যাসোসিয়েশন ফর ফুড সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট (ভারত) থেকে ‘ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’, লুই পাস্তুর পুরস্কার, মদন মোহন মালব্য পুরস্কার এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই পুরস্কার-ও পেয়েছেন অধ্যাপক রিন্টু ব্যানার্জি।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একজন জীববিজ্ঞানী হিসেবে সারা পৃথিবী জুড়ে নিজের অসামান্য প্রতিভা ও উদ্ভাবনী সত্ত্বার স্বাক্ষর রেখেছেন। তার ভাবনা গ্রামীণ মহিলাদের নিয়ে, তাদের স্বনির্ভর করে তোলার জন্য একাধিক ভাবনাও নিয়েছেন তিনি। খুবই সাদামাটা অধ্যাপিকা রিন্টু ব্যানার্জি। একজন অধ্যাপিকা হিসেবেই নিজেকে পরিচিতি দিতে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তবে তিনি শুধুমাত্র অধ্যাপিকা নয়, একদিকে প্রশাসনিক অধিকর্তা অন্যদিকে এক বিজ্ঞানী। সমাজের প্রতি তার কর্তব্য এবং উদ্ভাবনী আবিষ্কার সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।তার সাফল্যের যাত্রা এক মাইলফলক।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Paschim Medinipur,West Bengal
First Published :
November 13, 2025 12:05 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
IIT Kharagpur: পড়তে এসেছিলেন খড়গপুর আইআইটি-তে, হয়ে গেলেন ডেপুটি ডিরেক্টর! সাদামাটা হলেও বহু গুণের অধিকারী, তিনিই আজ সবার গর্ব
