ছোটবেলা থেকেই বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় বড় হয়ে ওঠা। ওড়িশার রাউরকেল্লাতে জন্ম তাঁর। ছোটবেলা থেকেই খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপন উপভোগ করতে পারেননি। তবে বরাবরই তিনি পড়াশোনায় বেশ মেধাবী ছিলেন। শিক্ষার্থী জীবন থেকে আজ আইআইটি খড়গপুরের মতো প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ডিরেক্টর। একদিকে এত বড় দায়িত্ব সামলান অন্যদিকে নিজের উদ্ভাবনী আবিষ্কার দেশের কাছে নিজেকে করেছেন প্রতিষ্ঠিত। তিনি আইআইটি খড়গপুরের মহিলা ডেপুটি ডিরেক্টর অধ্যাপিকা রিন্টু ব্যানার্জি। ছোট থেকেই রাউরকেল্লাতে পড়াশুনো, তবে পিএইচডি করতে সেই খড়গপুরে আসা। প্রথমে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যোগ দেন আইআইটি খড়গপুরে। এরপর ফ্যাকাল্টি, তারপর অধ্যাপিকা। বর্তমানে তিনি আইআইটি খড়গপুরের ডেপুটি ডিরেক্টর পদে আসীন রয়েছেন। তবে জানেন, তা নিত্যনতুন গবেষণা দেশের কাছে করেছে প্রতিষ্ঠিত। মিলেছে একাধিক সম্মান। দেশের এই মেয়ের ভাবনা, বিজ্ঞানে নতুন আবিষ্কার, শিক্ষার্থীদের কাছে অধ্যাপিকা রিন্টু রোল মডেল।
advertisement
অধ্যাপিকা রিন্টু ব্যানার্জী পশ্চিম মেদিনীপুরের আইআইটি খড়গপুরের পি.কে সিনহা সেন্টার ফর বায়োএনার্জি অ্যান্ড রিনিউয়েবলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান এবং বর্তমানে চেয়ারপার্সন। গত তিন বছর ধরে তিনি আইআইটি খড়গপুরের কৃষি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের (Agriculture and Food Engineering) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, আইআইটি খড়গপুরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিন (Dean of Research and Development) হিসেবে এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, উদ্ভাবনী ও টেকসই প্রযুক্তি কেন্দ্রের (Centre for Rural Development, Innovative and Sustainable) প্রধান হিসেবে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর উদ্বাবনী ভাবনা ও আবিষ্কার কেবল ভারতেই নয় আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত। জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের আর্থিক ও বৈজ্ঞানিক জগতে অসামান্য অবদান জন্য ICAR-র অসামান্য মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি ‘পাঞ্জাবরাও দেশমুখ পুরস্কার’- এ ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও, ভারতের বায়োটেক রিসার্চ সোসাইটি দ্বারা ‘সেরা মহিলা জীববিজ্ঞানী’, অ্যাসোসিয়েশন ফর ফুড সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট (ভারত) থেকে ‘ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’, লুই পাস্তুর পুরস্কার, মদন মোহন মালব্য পুরস্কার এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই পুরস্কার-ও পেয়েছেন অধ্যাপক রিন্টু ব্যানার্জি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একজন জীববিজ্ঞানী হিসেবে সারা পৃথিবী জুড়ে নিজের অসামান্য প্রতিভা ও উদ্ভাবনী সত্ত্বার স্বাক্ষর রেখেছেন। তার ভাবনা গ্রামীণ মহিলাদের নিয়ে, তাদের স্বনির্ভর করে তোলার জন্য একাধিক ভাবনাও নিয়েছেন তিনি। খুবই সাদামাটা অধ্যাপিকা রিন্টু ব্যানার্জি। একজন অধ্যাপিকা হিসেবেই নিজেকে পরিচিতি দিতে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তবে তিনি শুধুমাত্র অধ্যাপিকা নয়, একদিকে প্রশাসনিক অধিকর্তা অন্যদিকে এক বিজ্ঞানী। সমাজের প্রতি তার কর্তব্য এবং উদ্ভাবনী আবিষ্কার সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।তার সাফল্যের যাত্রা এক মাইলফলক।





