পাত্রী নাবালিকা, এই খবর পেয়ে চাইল্ড লাইনের সিউড়ি শাখার সদস্যরা এবং প্রশাসনিক কর্তারা ওই পাত্রীর বাড়িতে পৌঁছান। তারপর সেখানে পাত্রী এবং পাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তাদের বোঝান, (Minor) নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিলে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। সেই সকল সমস্যার কথা শুনে পাত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিয়ে বন্ধ করেন। বিয়ে বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে পাত্র পক্ষের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়, এক্ষুণি তাদের বিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
advertisement
এরপর দেখতে দেখতে কেটে যায় এক বছরের বেশি সময়। ওই নাবালিকা পাত্রী প্রাপ্তবয়স্ক (adult) হয়ে ওঠেন। আর ওই পাত্রী আঠারোর গণ্ডি টপকাতেই বিয়ে হল পূর্বনির্ধারিত পাত্রের সঙ্গেই৷ দুজনের সম্মতিক্রমে। মঙ্গলবার রাতে তাদের দু’জনের শুভ পরিণয় হয় ধুমধাম করেই। এক বছর আগে যাদের চার হাত এক হওয়ার কথা ছিল তাদের চার হাত এক হল এদিন। আর প্রাপ্তবয়স্ক দুজনকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে খুশি পরিবারের সদস্য থেকে প্রশাসনিক কর্তারাও।
এদিনের এই বিয়ের (Birbhum Marriage) অনুষ্ঠানে পাড়া-প্রতিবেশীদের নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করা হয় ওই সকল প্রশাসনিক ও চাইল্ড লাইনের সদস্যদের, যারা গত এক বছর আগে পাত্রী এবং পাত্রীর পরিবারের সদস্যদের চোখ খুলে দিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিমন্ত্রণ পেয়ে তারাও এদিন সুপ্রিয়ার বাড়িতে পৌঁছান এবং তাকে ফুলের তোড়া ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী দিয়ে আশীর্বাদ করেন৷ পাশাপাশি তারা এই ঘটনাকে দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা বলে মনে করে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে শপথ করান, 'নাবালিকার বিয়ে নয়'।
আরও পড়ুন Mother missing: 'মা-কে খুঁজে দিন...' হন্যে হয়ে অভাবী ছেলে খুঁজে চলেছেন দিনের পর দিন
কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ঈশিতা মন্ডল জানিয়েছেন, "আমরা কখনোই চাই না একজন নাবালিকার হোক। কারণ ওই বয়সে একজন মেয়ের শারীরিক এবং মানসিক কোন দিক দিয়েই ম্যাচুরিটি আসে না। সেই জায়গায় এই মেয়েটির খবর পেয়ে আমরা এসেছিলাম এবং পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এরপর আজ যখন এই মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠেছে সেই সময় তার বিয়ে হচ্ছে ধুমধাম করে। এটা দেখে আমরা সত্যিই খুশি। পাশাপাশি তারা যে আমাদের বার্তা বুঝতে পেরেছে তার মধ্য দিয়েই আমাদের কাজের সফলতা এসেছে।"
মাধব দাস