এখন কুমোরটুলিতে গেলে দেখা যাচ্ছে সেই আগের চেনা অবস্থা। মাটির তাল ভেঙে ভেঙে চলছে মূর্তি গড়ার কাজ।তবে কোভিড পরিস্থিতির পর মাটির দাম খানিকটা বেড়েছে। তার চেয়েও সমস্যার হল, রঙ ও কাপড়ের দাম যা নিয়ে নাজেহাল শিল্পীরা। একে তো দু বছর করোনার জেরে হাতে সেভাবে মূলধন রাখতে পারেন নি, সব কমিটি আডভান্স ও দেয়নি। যার ফলে মালপত্র কেনার ব্যাপারটা সমস্যায় ফেলেছে শিল্পীদের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উৎসব মরশুমের আগে খাবারের দোকানে লাগাতার অভিযান
একথা নিঃসন্দেহে এখন বলা যেতেই পারে যে, জোর কদমে শুরু হয়েছে দুর্গাপুজোর কাজ। কোথাও চলছে দুর্গা প্রতিমার কাঠামো গড়াও। এক শিল্পীজানালেন, জিনিস পত্রের যা অসম্ভব দাম, খুব অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। প্রায় সব কিছুর দামই দ্বিগুন। মাটি, কাপড়, রঙ প্রভৃতি জিনিসের দাম প্রায় ৩০% করে বেড়েছে। কাজ করাটাই চ্যালেঞ্জিং জায়গায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে। যদিও এখনও কিছু টা সময় বাকি রয়েছে পুজোর, তবুও এখন থেকেই কয়েকটি দুর্গা সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন মৃৎশিল্পী নরেন পালের ছেলে চঞ্চল পাল।
বাইরের থেকে মৃৎশিল্পী নিয়ে এসে এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছেন বাঙালির প্রাণের উৎসবের কাজ। চলছে কয়েকটি অর্ডারী প্রতিমা গড়ার কাজ। শিল্পী চঞ্চল পাল বলেন, এই বার আশা পুজো ভালোই হবে। প্রতিমা তৈরী করার সরঞ্জামে দাম বেড়েছে কাঠ থেকে শুরু করে সবকিছুর। তবুও কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ শতবর্ষ প্রাচীন ময়দানে প্রাচীর! মানতে রাজী নন স্থানীয়রা
শিল্পীদের দাবি, যে সমস্ত কারখানা বা শিল্পীদের কাছে শোলা মজুত নেই, তাঁদের দ্বিগুন দাম দিয়ে শোলা কিনতে হচ্ছে। কয়েক বছর আগে ৫০ গাছার এক বান্ডিল শোলা ৩০০ টাকায় মিলত,তা এখন ৬০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ওপর এক শিল্পী সুব্রত পাল বলেন, জিনিসের দাম অনেকটাই বেশি। কিছু অর্ডার এসেছে। উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখব। অর্ডার নিয়েই এখন মূর্তি গড়া হচ্ছে। তবে সেভাবে মূর্তির দামি বাড়েনি।
Geetashree Mukherjee