এদিন মধ্য হাওড়ার যোগেশচন্দ্র গালর্স স্কুলের ছাত্রীদের পোশাক তুলে দেন হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। তিনি জানান হাওড়া পুর এলাকায় ৩৯৪টি সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল রয়েছে। এর মধ্যে ২১১টি স্কুলের পড়ুয়াদের এক সেট করে পোশাক তৈরি হয়ে গেছে। সেগুলি কয়েক দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট স্কুলের পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন Birbhum News : ট্রাফিক আইন ভাঙলেন টোটো চালক, ট্রাফিক কন্ট্রোলের দ্বায়িত্বে দিয়েই হল শাস্তি
উল্লেখ্য হাওড়া কর্পোরেশনের অধীনের ৩০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ২৬৮জন মহিলা ওই স্কুল-পোশাকগুলি তৈরি করছেন। তাঁদের আর্থিক দিক আরও স্বাবলম্বী করতেই পুরনিগমের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে স্কুলড্রেস তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। এগুলির কাজ শেষ হলে তাঁদের পুলিশের পোশাক ও হাসপাতালের নার্স ও রোগীদের পোশাক তৈরির বরাতও দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এবার থেকে একই পোশাক পড়বে ৪৩৩টি সরকারি স্কুলের পড়ুয়ার। মোট ৩০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় ২৬৮ জন সদস্য স্কুলড্রেস তৈরির কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত শহরের ৩৯৪টি স্কুলের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বাকি স্কুলের ওয়ার্ক অর্ডার পরে এসে যাবে।
বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পোশাক দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে সুবিধা পাবে ৬৫ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী। প্রাথমিকভাবে বুধবার ২১১টি স্কুলে ছাত্রেছাত্রীদের বিনামুল্যে পোশাক দেওয়া হচ্ছে বলে পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ব্যাপারে হাওড়া পুর প্রশাসকমন্ডলীর প্রধান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “এই হাওড়া শহরের ৪৩৩টি স্কুলের মধ্যে ৩৯৪টি স্কুলের ওয়ার্ক অর্ডার এসে গিয়েছে। এই পোশাক তৈরি করছেন ৩০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ২৬৮ জন সদস্য। এই পোশাক তৈরির জন্য শহরের পাশাপাশি গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীও আছে। সরকারি নির্দেশ মতো পোশাকের রঙ হবে নীল-সাদা। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীদের মোট ২ সেট পোশাক দেওয়া হবে। এদিন ২১১টি স্কুলে প্রথম সেট পোশাক পাঠান হয়েছে। বাকি স্কলে পরে পাঠান হবে।“ তিনি জানিয়েছেন, এই কাজ করা হয়েছে দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যে। ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা ডিজাইন হবে।
আরও পড়ুন North 24 Parganas News: যোগান কম, বাজারে চাহিদার পাশাপাশি বেড়েছে মাছের দাম
এছাড়াও মাদ্রাসা স্কুলের জন্য আলাদা ডিজাইনের ড্রেস তৈরি করা হবে। প্রতিটি সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা একই সঙ্গে একই জামা পড়লে বোঝা যাবে তারা সরকারি স্কুলের ছাত্র। এই প্রকল্পে যুক্ত থাকবে ৩০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মোট ২৬৮ জন। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করছে হাওড়া পুরনিগমের ন্যাশানাল আর্বান লাইভিলিহুড মিশন (এনইউএলএম) দফতর। এই দফতরই ৩০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠিকে চিহ্নিত করে তাদের পোশাক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। হাওড়ার সব স্কুলেই পোশাক দেওয়া হবে। প্রতিটি পোশাক সেলাইয়ের জন্য দেওয়া হবে ৪৫-৫৫ টাকা। এই ব্যবস্থায় উপকৃত হবে ৩৯৪টি স্কুলের ২৮ হাজার ৩৯২ জন ছাত্র এবং ৩৭ হাজার ৩৭৩ জন ছাত্রী।
রাকেশ মাইতি