সে সময় দেউলপুর ও তার পার্শ্ববর্তী গ্রামের বসবাসকারী মানুষের ভরসা ছিল দেউলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে হঠাৎই বন্ধ হয় অন্তবিভাগ ও প্রসূতি বিভাগ পরিষেবা। তার ফলে সমস্যায় পড়েন দেউলপুর, গঙ্গাধরপুর, গণ্ডলপাড়া, জালালসি, বহোরিয়া, ধূলাগড় জয়নগর, জুজারসাহা গ্রাম সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। কি কারণে পরিষেবা বন্ধ হয় তা জানা নেই সাধারণ মানুষের। তবে অসহায় মানুষগুলো সেই সময় থেকে আজও অপেক্ষায় রয়েছে। আবার হয়তো আগের মত চালু হবে স্বাস্থ্য পরিষেবা। সেই আশাতেই দিন গুনছেন মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন – Siliguri News: স্কুটির চারধারেই জমছে ভিড়, ঘরে বানানো সুস্বাদু খাবার বেচছেন এমবিএ ফতিমা
সাধারণ মানুষ স্থানীয় পঞ্চায়েত বিডিও বিভিন্ন দফতরে আবেদন জানিয়েছে। তাদের দাবি হাসপাতালে পুনরায় চালু হোক সমস্ত পরিষেবা। তাতে দারুণভাবে উপকৃত হবেন কয়েক হাজার পরিবার। কিন্তু দিনের পর দিন দাবি জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি অভিযোগ মানুষের। তবে কোনও রকমে চলছে বহির্বিভগ পরিষেবা।
আরও পড়ুন – Crime News: খুলে দেওয়া হবে জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট, এই টোপে পা দিয়েই…
অবশেষে দেউলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আশার আলো দেখাচ্ছে আয়ুর্বেদিক বিভাগ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় মানুষের বিভিন্ন রোগ মুক্তি ঘটছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে গত দু বছরে বহু মানুষ হাসপাতালমুখী। স্থানীয় ব্যক্তি সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, একসময় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অন্তর্বিভাগ চালু ছিল মানুষ প্রায় সব রকম সুবিধা পেয়েছে চিকিৎসা বিষয়। কিন্তু সেই পরিষেবা বন্ধ হওয়ায়। মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে।
এবার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় সারছে নানা রোগ। দেউলপুর হাসপাতালে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পেতে আসছে বহু মানুষ। জোরদার হচ্ছে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা। এখানেই শুরু হল ‘ আদর্শ আয়ুষ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ‘ বহির্বিভাগ ইউনিট। ভার্চুয়ালি সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এতে দারুণভাবে খুশি সাধারন মানুষ। এই সূচনা দিয়েই সাধারণ মানুষ আশার আলো দেখছে আবার অন্তর্বিভাগ বেড পরিষেবা চালু হবে। দেউলপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
বর্তমানে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পরিষেবা পান মানুষ। সেই সমস্ত মানুষ চাইছেন প্রতিদিন এই পরিষেবা পেলে আরোও উপকৃত হবেন তারা। ডা: হিমাদ্রী শর্মা জানান, মডার্ন আয়ুষ ওপিডি শুরু হওয়ার পর মানুষ আরও বেশি করে পরিষেবা পাবেন। ফের ধীরে ধীরে মানুষের আস্থার জায়গা হয়ে উঠতে পারে এই হাসপাতাল।
Rakesh Maity