প্রাচীন কাল থেকেই মন্ডল পরিবার জলপথের মাধ্যমে নানা ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়। জলপথে বাণিজ্য করতে গেলে সবথেকে বড় বিপদ ছিল জলদস্যু। বর্তমান ব্যান্ডেলের বেশ কিছু অংশ জুড়ে অতীতে ছিল জলদস্যুদের ঘাঁটি। ব্যান্ডেল যেহেতু পর্তুগিজ অতিষ্ঠ এলাকা ছিল, তাই সেখানে পর্তুগিজ জলদস্যুদের রমরমা ছিল জলপথে। জাহাজ লুট থেকে শুরু করে জাহাজ ডুবি ঘটতো ওই জলদস্যুদের জন্য। এর প্রভাব এসে পড়ে মন্ডল পরিবারের উপরেও। একের পর এক জাহাজ জলদস্যুদের হাতে ধ্বংস হতে শুরু করে। জলদস্যুদের কারণে একের পর এক জাহাজডুবির ফলে তীব্র সংকটের সম্মুখীন হন তারা।
advertisement
আরও পড়ুন- রক্তের ভাঁড়ারে টান! ঘাটতি মেটাতে এগিয়ে এল গুড়াপ থানার পুলিশ
সেই সময় তৎকালীন মন্ডল পরিবারের প্রধান যিনি ছিলেন, তিনি একদিন স্বপ্নাদেশ পান এই দেবী গণেশজননীর। স্বপ্নাদেশে দেবী তাকে আদেশ দেন, তিনি যে রূপে তাকে স্বপ্নে দেখা দিয়েছেন সেই রূপে পুজো করলে মন্ডল পরিবার সমস্ত বিপদ থেকে মুক্ত হবে। তারপর থেকেই শুরু হয় আদ্যা শক্তি মহামায়া গণেশজননী রূপে পুজো। দেবীর আরাধনার পরেই সেই ভয়ানক জলদস্যুদের সাথে লড়াই করে মন্ডল পরিবার জয়লাভ করে।
আরও পড়ুন- জানেন কী, ১৪ তম দলাই লামার হাতে উদ্বোধন হয়েছিল আরামবাগের এই প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দিরটি..
পর্তুগিজ জলদস্যুদের প্রাণের বিনিময়ে চুক্তি হয়, মন্ডল পরিবারের পতাকা লাগানো কোনও জাহাজে জলদস্যুরা আর কোনদিন আক্রমণ করবে না। এরপর থেকেই গণেশজননীর পুজো সাড়ম্বরে পালিত হয় প্রতিবছর। বর্তমানে এই পুজো সার্বজনীন পুজোয় পরিণত হয়েছে। এই পুজোর সাথে জড়িত এই এলাকার সমস্ত মানুষজন। দুর্গাপুজোর মতন রীতি মেনেই পুজো হয় গণেশজননীর।
Rahi Haldar