স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পাড়ায় রয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ তপশিলি জাতি অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এই রাস্তা এখনও হয়নি। পশ্চিমপাড়ায় প্রায় ৫০ টা পরিবারের বসবাস। রাস্তার পাশেই রয়েছে দুটি পুকুর। বর্ষাকালে পুকুরের জল উঠে গেলে রাস্তা পরিণত হয় মারন ফাঁদে। প্রতিদিনই রাস্তায় ঘটছে দুর্ঘটনা। খারাপ রাস্তা হওয়ার দরুন সাইকেল বাইকের এক্সিডেন্ট নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দোকানের দেওয়ালে গর্ত করে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মোবাইল চুরি!
স্থানীয় বাসিন্দা অসিমা সাঁতরা বলেন রাস্তা হয়নি শুধু বোর্ড লাগিয়ে রেখে দিয়েছে। জিজ্ঞাসা করলে বলবে ভোট এলে রাস্তাটা হবে। স্থানীয় বাসিন্দা নয়নতারা সিং বলেন প্রায় ১০ মাস হয়ে গেল বোর্ড লাগানো হয়েছে রাস্তা হয়নি। আমরা বলেছিলাম বোর্ড লাগিয়েছেন রাস্তা হয়নি কেন। আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল শুরু হবে। আজ পর্যন্ত রাস্তা হয়নি। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা মাধবী সাধুখাঁ বলেন বোর্ড লাগানো রয়েছে অথচ রাস্তা হয়নি কেন, এটাই জানা দরকার। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তাতে যেতে পারে না, পড়ে যায়। বোর্ড লাগিয়ে দিলে হবে না। রাস্তার দিকে নজর দিক পঞ্চায়েত।
আরও পড়ুনঃ এইচআইভি এইডস নির্মূল করার প্রতিকারে অঙ্গীকার বদ্ধ জেলা স্বাস্থ্য দফতর
স্থানীয় আর এক বাসিন্দা বিমল বাগ বলেন আমরা যেটা দেখলাম কয়েকমাস আগে পঞ্চায়েত থেকে একটা বোর্ড লাগালো হয়েছে রাস্তার ঢোকার মুখে। রাস্তার কোনও কাজ হয়নি। আমি মনে করছি তপশিলি এলাকা বলে কাজ হয়নি। আমাদের ধারনা এই টাকা পঞ্চায়েত খেয়ে নিয়েছে। পঞ্চায়েতকে বারবার বলেও এই রাস্তা হয়নি। এই বিষয়ে গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাবেরী দাস বলেন কেন্দ্র সরকারের টাকা আসছে না। ইঞ্জিনিয়ার রাস্তার জন্য কতটাকা করচ হতে পারে সেটা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাস্তার জন্য টাকা বরাদ্দ করলে অবশ্যই হবে।
Rahi Haldar