পুরসভার সূত্রে খবর, হাসপাতালটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য পুরসভার আধিকারিক ও পুর প্রধানরা নিজেদের আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। এক সময় কথা উঠেছিল হাসপাতাল-সহ সেই সমস্ত জায়গা বিক্রি হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি বরং নতুন করে পুরনো বিল্ডিংয়ের পাশেই তৈরি হয়েছে নতুন একটি বিল্ডিং। তিন তলা এই বিল্ডিং এ পুরুষ এবং মহিলা আলাদা আলাদা বিভাগ করে রোগী পরিষেবা মিলবে। একইসঙ্গে তৈরি হবে হাসপাতালের মধ্যে ফুলের বাগান-সহ রোগীদের পরিবারের লোকজনদের স্থায়ী বসার জায়গা। এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার একটি ফান্ড দেওয়া হয়েছে পুরসভাকে।
advertisement
এ বিষয়ে পুরপ্রধান প্রলয় চক্রবর্তী বলেন, তিনি পদে থাকুন আর না থাকুন একজন ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা হিসেবে মানকুন্ডুর মানসিক হাসপাতালতাদের কাছে ঐতিহ্য। সেটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন তারা। সংস্কার কাজ ইতিমধ্যেই অনেক দূর এগিয়েছে। নতুন করে কুড়িটি বেড আনা হয়েছে একতলার জন্য। প্রত্যেক রোগী কখন কি খাওয়া দাওয়া করবে? কখন তাদের কোন চিকিৎসক দেখতে আসবে সমস্ত কিছু চার্ট করে লাগানো হয়েছে হাসপাতালের দেওয়ালে। রোগীর পরিবার-পরিজনদের বসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আম কুড়োতে গিয়ে শিশুদের সামনে এ কী উদ্ধার! তীব্র আতঙ্ক ছড়াল হুগলিতে
ওই হাসপাতালে আসা এক রোগীর পরিবারের লোকজন বলেন, আগের থেকে হাসপাতালে পরিষেবা অনেক উন্নত হয়েছে। নিয়ম মাফিক চিকিৎসকরা রোগী দেখতে আসেন। নতুন পরিষেবা পাওয়াতে খুশি রোগের পরিবারের লোকজনরা।
রাহী হালদার