এই সমস্যাগুলো আইসিডিএস কেন্দ্রের শিক্ষিকা বলেন, অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে কেন্দ্র চলছে। একদিনের খাবার দু'দিন করে খাওয়াতে হয়। রান্নার সময় কাঠের জালের ধোঁয়ায় বাচ্চাদের কষ্ট হয়। আগে শাক-সবজি, ডিম, সয়াবিনের মত পুষ্টিকর খাবার বরাদ্দ থাকত বাচ্চা ও প্রসূতি মায়েদের জন্য। কিন্তু বর্তমানে সেরকম কিছুই মিলছে না বলে জানান তিনি।
আর্থিক অভাবে বাচ্চাদের পাতে পড়ছে আধখানা ডিম! সাধা ভাত ও ডিম সেদ্ধ কীভাবে বাচ্চারা খাবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আরও বলেন, বাচ্চাদের জন্য বরাদ্দ ডাল একদিনেরটা দু'দিন করে তাদেরকে খাওয়ানো হচ্ছে। এদিকে স্কুলের অবস্থাও বেহাল। স্কুলে না আছে বিদ্যুৎ পরিষেবা, না মেলে পানীয় জল।
advertisement
আরও পড়ুন: নিউজ ১৮ বাংলার খবরের জের, কলকাতার জুডিশিয়াল মিউজিয়ামে স্থান পাচ্ছে সুধীর সরকারের সংগ্রহ
ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার দায়িত্বে থাকা ভারতী বাগ বলেন, খুব কষ্ট হয় যখন বাচ্চারা বলে চোখে ধোঁয়া লাগছে, চোখ জ্বালা করছে। কিন্তু কিছু করার থাকে না। গ্যাস না থাকার ফলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। স্কুলের মধ্যে রান্না করার আলাদা কোনও ঘর নেই। বারান্দাতেই রান্না হচ্ছে এবং পাশেই স্কুল।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, স্কুলের মধ্যে কোনরকম সুচারু ব্যবস্থা নেই। যা আছে তা না থাকার মত। বৃষ্টি হলে স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়। কারণ স্কুলের ছাদ ফুটো হয়ে জল পড়ে। বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। প্রচন্ড কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়তে আসা বাচ্চা ও প্রসূতি মায়েরা।
রাহী হালদার