অন্যদিকে, এই আলু খাওয়ারও অযোগ্য বলে দাবি চাষিদের। তাঁদের অভিযোগ, নকল আলুর বীজ দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। গত বছর নভেম্বর মাসে আস্তারা গ্রামের এক বাসিন্দার কাছ থেকে এসএফ মার্কা জ্যোতি আলু বীজ কিনে জমিতে চাষ করেছিল চাষিরা। দুমাস পর আলু তুলতে গিয়ে চাষি দেখতে পান আলু পুতুলের মত। আর তাতেই মাথায় হাত পড়ে যায় ওই এলাকার কয়েকশো চাষির। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে জানান তাঁরা। ইতিমধ্যেই তারকেশ্বর ব্লক A.D.O অফিস ও স্থানীয় বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছে চাষিরা।
advertisement
আরও পড়ুন: এই মঞ্চেই স্বীকৃতি পেয়েছিল গতবছর, আবারও অস্কারে ‘আর আর আর’-এর দৃশ্য! আবেগপ্রবণ দেশবাসী
আলু চাষের শুরুতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে কিছুটা সময় পিছিয়ে গেলেও চাষের মরসুমে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি আলু চাষে। তারপরও জমিতে যে ফলন হয়েছে তা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে চাষি ও তাঁদের পরিবার।
আরও পড়ুন: ‘জওয়ান-পাঠান’ ম্যাশআপে নয়া অবতারে ধরা দিলেন শাহরুখ! রেড কার্পেটেও দিলেন চমক
নির্দিষ্ট আলু বীজ ব্যবসায়ীর কাছে যে সমস্ত আলু চাষি বীজ কিনেছিলেন সেই সমস্ত জমিতে আলুর ফলন হয়েছে খুবই খারাপ মানের। না হবে বিক্রি না খাওয়ার উপযোগী। স্বাভাবিক ভাবেই আলুর যে আকৃতি হয় সেরকম হয়নি, আলুর আকৃতি হয়েছে কোনটা লম্বা পুতুল তো কোনও আলু হাতি, ঘোড়ার আকৃতির। এই আলু পরিদর্শন করে যান চাঁপাডাঙা আলু ব্যবসায়ী সমিতির কর্তারা।
চাষি অজিত খাঁড়া, বিশ্বনাথ দোলুইদের বলেন, “দু’বিঘা পাঁচ কাটা মত জমিতে আলু বসিয়েছিলাম। একমাস কুড়ি দিন পর জমিতে গিয়ে আলু খুলে দেখি গোটা জমির আলু ফাটা। গোটা জমির একই অবস্থা। এতে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে আমাদের। “
চাঁপাডাঙা ব্যবসায়ী সমিতির দেবব্রত দলুই বলেন, “কোম্পানিকে আমরা বারবার জানিয়েছি দেখতে আসবারও কথা বলেছি। আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করছি চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর।”
তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দ্র সিংহ রায় বলেন, “আলুর যে গঠন তা হয়নি। পুতুলের মতো দেখতে হয়েছে। চাষিরা আমার কাছে এসেছিল আমি ইতিমধ্যেই চাঁপাডাঙা আলু বীজ ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি ও সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের উপস্থিতিতেই আলু ভাঙা হয়েছে, এবং সেটা ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। কৃষি দফতরের আধিকারিকরা জমি পরিদর্শন করে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন আই এস এফ কোম্পানির মালিককে আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ব্যবসায় সমিতিকে বলেছি। ক্ষতিপূরণ চাষিদের আমরা করে দেব। যদি কোনও রকম টালবাহানা করে তাহলে আগামী বছর আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলু ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর মা বলেন, “ছেলে বাড়িতে নেই। পঞ্জাব থেকে আলু এনে দিয়েছিল চাষিরা নিয়েছিল। ২২ বছর ধরে আলুর ব্যবসা করছে কোনদিন এরকম হয়নি এবার কেন হল সেটা বুঝতে পারছি না।”
রাহী হালদার