এভারেস্টের ৮৮৪৮ মিটারের মধ্যে ৮৪৫০ মিটার তিনি পৌঁছান কোনো রকম কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই। বাকি রাস্তায় আবহাওয়ার অবনতির জন্য তাকে কৃত্রিম অক্সিজেন ব্যাবহার করতে হয়। যেখানে কৃত্রিম অক্সিজেন নিয়ে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে পারেন না শেখানে কৃত্তিম অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্টর ৮৫৪০ মিটার পর্যন্ত পৌঁছনো নজির বিহীন ঘটনা। স্বভাবতই গর্বিত তার পরিবার। চন্দননগরের কানাইলাল প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করেন পিয়ালী। যে স্কুলে পর্বতারোহীদের পোশাক সামগ্রী প্রদর্শনি হত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কন্যাভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ
ছেলেবেলায় বাবার হাত ধরে পহাড়ে চড়ার জন্য বুট দড়ি নেবার জন্য বায়না করত। সেই স্কুলেই এখন শিক্ষিকা সে। নিজে খুব ভালো আঁকতে পারেন, মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন,আইস স্কেটিং এ রাজ্যের প্রথম মহিলা খেলোয়ার। যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে কথাটা চন্দননগরের পিয়ালীর জন্য প্রযোজ্য। বাবা তপন বসাক অসুস্থ ,তাকে নিয়ে হাসপাতাল দৌড়াদৌড়ি, বাড়ির দোকান বাজার সবই করতে হয়। পাহাড়ে চড়তে গিয়ে ঋণ হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তার পরেও হাল ছাড়েননি পিয়ালী।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় বাজিমাত মৃত্তিকার! তার সাফল্যে গর্বিত হুগলিবাসী!
ছেলেবেলায় বইয়ে পড়া এভারেস্ট অভিযান এবার নিজেই করে সাফল্য পেয়েছে পিয়ালী। ভারতীয় সময় রবিবার সকাল সারে আটটায় এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে যান পিয়ালী। নেপালের এজেন্টের মারফত খবর পান পিয়ালীর বোন তমালী। মাকে জানাতে মেয়ের জন্য খুশিতে চোখে জল চলে আসে মায়ের। অসুস্থ বাবা মেয়ের এত বড় সাফল্য কিছুই উপলব্ধি করতে পারলেন না।
Rahi Halder