Hooghly: কন্যাভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ
Last Updated:
প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলে জানা যায় দেশব্যাপী মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা। প্রায়সই খবরে দেখতে পাওয়া যায় কন্যাভ্রূণ হত্যার, সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে পরিত্যাগ করার মত ঘটনা।
হুগলি: প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলে জানা যায় দেশব্যাপী মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা। প্রায়সই খবরে দেখতে পাওয়া যায় কন্যাভ্রূণ হত্যার, সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে পরিত্যাগ করার মত ঘটনা।উল্টো পথে হেঁটে সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ঢাকঢোল ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে স্বাগত জানাল হুগলী-চুঁচুড়া চন্দ্র পরিবার। এরূপ পদক্ষেপে সাধুবাদ জানাচ্ছে নেটিজেনরা। বলা হয় কন্যা সৃষ্টির আধার,কন্যারা আজ সবক্ষেত্রে পুরুষের সঙ্গে সমান তালে লড়াই করছে,অথচ দেখা যায় একবিংশ শতাব্দীতেও কন্যা ভ্রুন হত্যা হয়,অনার কিলিং এর মত ঘটনা ঘটে,পনের দাবীতে বধুকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা এখনো চলছে।রাজ্যে কন্যাশ্রী , দেশে বেটি বাঁচাও প্রকল্প চলছে ,তারপরেও কোথাও যেন কন্যারা আজও অবহেলিত সমাজে।সমাজের সেই ছক বাঁধা ভাবনার উল্টো পথে হেঁটে নিজের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম সেলিব্রেট করলেন সুজয় ও তৃণা চন্দ।
চুঁচুড়া কারবালা মোর শুভপল্লীর বাসিন্দা সুজয় ও তৃমা চন্দের দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম হয় গত ১৫ ই মে। কারবালা নার্সিংহোম থেকে শনিবার তার ছুটি হয়। সেই থেকেই সাজ সাজ রব, ঢাক আর বাজনা বাজিয়ে শোভাযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। গাড়ি সাজানো হয় বেলুন,কার্টুনে। বাজনার তালে শিশুর পরিবার পরিজন প্রতিবেশিরা নাচতে নাচতে শোভাযাত্রায় সামিল। মিস্টি মুখ করানো হয় সবাইকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য পুঁথি সংরক্ষিত করা হবে বলাগর মহাবিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে
সুজয় বলেন, আমার প্রথম সন্তান মেয়ে, দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে তাই খুব খুশি। অনেক পরিবারে মেয়ে হলে আনন্দ থাকে না। ছেলে মেয়ে একই বরং মেয়েরা অনেক এগিয়ে আছে, সেটা বোঝে না অনেকে। প্রথম মেয়ের জন্মের সময় মেলা বসিয়েছিলাম। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ছেলে মেয়ের বিভেদ কেউ যেন না করেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ! কীভাবে চলবে সংসার, ঝাঁটা হাতে প্রতিবাদ হকারদের
মানুষ করতে চাইলে ছেলে মেয়ে উভয়কেই করা যায়। দুই মেয়েকে পেয়ে খুব আনন্দিত মা তৃমা। পিসি প্রতিমা ঘোষ বলেন,মেয়ে হয়েছে বলেই খুব খুশি আমরা।এই উৎসবের কারন সবাই যাতে বোঝে আমরা মেয়ে হওয়ায় কতটা খুশি।ঘরে মেয়ে না থাকলে যেন পরিপূর্ণতা থাকে না।এখন সংসার সামলে সবদিক সামলায় মেয়েরা।
advertisement
Rahi Halder
Location :
First Published :
May 21, 2022 7:35 PM IST