Hooghly News- বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য পুঁথি সংরক্ষিত করা হবে বলাগর মহাবিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে

Last Updated:

পুঁথিগুলি বৌদ্ধ পুজো অর্চনা, তন্ত্র সাধনা ও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপর রচিত বলে অনুমান করা হচ্ছে

+
প্রাচীন

প্রাচীন বৌদ্ধ পুঁথি

#হুগলি: বলাগর মহাবিদ্যালয় লাইব্রেরিতে স্থান পেতে চলেছে দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন বেশ কিছু পুঁথি। আপাতত এই প্রাচীন পুঁথির সংখ্যা প্রায় ২০০ টি। সেগুলো মূলত মহাজাতি বৌদ্ধ ধর্মের পুজো-অর্চনা, তন্ত্র সাধনা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা সংক্রান্ত বলে অনুমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে পুঁথি সংরক্ষণের কাজ। প্রথম ধাপে পুঁথিগুলো বিভাজন করার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ডঃ তরুণ মুখোপাধ্যায়কে বলাগর মহাবিদ্যালয়ে আসার অনুরোধ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি পুঁথিতে কী লেখা আছে তা উদ্ধার করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল নিযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মহাবিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পুঁথিগুলো বেশিরভাগই দেবনাগরী হরফে লেখা, কিছু পুঁথি রয়েছে সংস্কৃতে। পুঁথিগুলো কতটা দুষ্প্রাপ্য তা বোঝা যায় ব্যবহৃত কাগজ দেখে। বেশ কিছু পুঁথি রয়েছে যা ভূর্যপত্র কাগজের উপর লেখা। এই কাগজগুলো কাশ্মীরের একটি বিশেষ গাছের ছাল দিয়ে তৈরি। কিছু রয়েছে যা তুরাট কাগজের উপর লেখা। পুঁথিতে লেখা হয়েছে পালকের খর্গ দিয়ে। এমনটাই প্রাথমিক অনুমান৷
advertisement
advertisement
দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন পুঁথিগুলো কীভাবে মহাবিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে এসে পৌঁছলো, সে কাহিনীও বেশ রহস্যময়ী। মহাবিদ্যালয় সূত্রে খবর, বলাগরের স্থানীয়এক বাসিন্দা একদিন ব্যাগে করে কিছু পুঁথি নিয়ে আসেন মহাবিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিকের কাছে। ওই ব্যক্তি জানান, প্রাচীন পুঁথিগুলো তাঁদের বাড়িতে রয়েছে৷ এগুলো তাঁদের পূর্বপুরুষেরা রেখে গিয়েছেন৷ এখন এগুলো এমন কোনও জায়গায় দিতে চান, যেখানে তার সদ্ব্যবহার হবে৷ গ্রন্থাগারিক পার্থ চট্টোপাধ্যায় পুঁথিগুলোকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে আশ্চর্য হয়ে যান। তৎক্ষণাৎ তিনি বলাগর মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালকে জানান পুরো বিষয়টি।
advertisement
সেই দিনই সহ উপাচার্য নিজের গাড়ি করে ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে পুঁথিগুলো সংগ্রহ করতে পাঠিয়ে দেন গ্রন্থাগারিককে। শুধু ওই বাড়িটি নয়, তার পার্শ্ববর্তী বেশকিছু বাড়ি থেকে পুঁথি সংগ্রহের কাজ চলে। সর্বসাকুল্যে ২০০ টি পুঁথি সংগ্রহ করে বলাগর মহাবিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
advertisement
গ্রন্থাগারিক পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, পুঁথিগুলো সংগ্রহের পর সাহিত্য অ্যাকাডেমি থেকে বেশ কিছু মানুষ আসেন, এবং বলেন পুঁথিগুলোকে সাহিত্য অ্যাকাডেমির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই প্রস্তাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। বরং তাঁরা নিজেরাই সেগুলি সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন।
পার্থবাবু আরও বলেন, "এই পুঁথিগুলো হুগলির স্থানীয় ইতিহাসের নিদর্শন। আমার অনুমান কোনও এক সময় মহাজাতি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের বসতি স্থাপন হয়েছিল হুগলির বলাগরে।"
advertisement
Rahi Haldar
view comments
বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Hooghly News- বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য পুঁথি সংরক্ষিত করা হবে বলাগর মহাবিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement