এইবারে পর্বত আরোহণের জন্য পিয়ালীর মোট খরচ ৩১ লক্ষ টাকা। পুরো টাকার মাত্র তিন লক্ষ টাকা এখনও পর্যন্ত জোগাড় করতে পেরেছেন তিনি। বাকি টাকা পূরণের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে বারংবার দ্বারস্থ হয়েছেন পিয়ালী। তবে, সাধারণ মানুষ পিয়ালীর পাশে রয়েছে। ক্রাউড ফান্ডিং-এর ওপর ভরসা করে আবার তিনি বেরিয়ে পড়েছেন পর্বত শৃঙ্গ জয়ের উদ্দেশ্যে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কেটে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের সংযোগ, জলের অভাবে চাষের জমিতে ফাটল, মাথায় হাত কৃষকদের
পিয়ালী বলেন, তাঁর আশা আবহাওয়া যদি সঙ্গ দেয় নিশ্চিত মাকালু ও অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করবে। পিয়ালীর কথায় "এই সফরে মোট ৩১ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গ সরোজগার করপোরেশন ২ লক্ষ ২ হাজার টাকা দিয়েছে। আরও এক লক্ষ টাকা ক্রাউড ফান্ডিং উঠেছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। ঝুঁকি নিয়েও দেশের মুখ উজ্জ্বল করছি। প্রতিপদে নাওয়া খাওয়া ভুলে টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি। টাকা না পেলে মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে দেবে। তবে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন আশ্বাস দিয়েছেন ৫ লক্ষ টাকা দেবার। এভাবে যদি কর্পোরেট সংস্থা এগিয়ে আসে তাহলে দুটি শৃঙ্গ জয় করতে পারব।"
১৯ শে মার্চ থেকে যাত্রা শুরু করবে পিয়ালী। নেপালের সংস্থা পিয়ালীকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়তি একমাস সময় দিয়েছে টাকা জমা দেওয়ার জন্য। তবে কীভাবে সেই টাকা যোগাড় হবে তা নিয়ে এখনো দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পিয়ালী।
আরও পড়ুনঃ 'মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে...!' শান্তনুর ৫ বছর আগে 'কীর্তি' আসছে সামনে
পিয়ালীর মা স্বপ্না বসাক বলেন যাওয়ার সময় চিন্তা হলেও আশা করি সামিট শেষ করবে আমার মেয়ে।এটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটা যারা করে তারাই জানে।বেস ক্যাম্প পর্যন্ত যোগাযোগ থাকলেও অভিযানে গেলে আর যোগাযোগ থাকে না।আর্থিক ভাবে কয়েকজন এগিয়ে এসেছে। এভারেস্ট- এর সময় কোনও কর্পোরেট, রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের সাহায্য পায়নি পিয়ালী ।এবারে যদি সকলে এগিয়ে আসে তাহলে পিয়ালীর সামিট সফল হবে।
রাহী হালদার