তবে কীর্তিমানদের খোঁজে হুগলী গ্রামীণ পুলিশ মাঠে নেমে পড়ে সঙ্গে সঙ্গেই। জেলা জুড়ে শুরু হয় নাকা তল্লাশি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সিঙ্গুরের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের সংলগ্ন রাস্তার নির্মাণের কাজ চলছিল বেশ কিছুদিন যাবৎ। রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গেলে রোডরোলারটি কে ঠিকাদারি সংস্কার লোকেরা রাস্তার ধারেই রেখে যায়। অন্যত্র রাস্তা তৈরি যেখানে হবে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তার মধ্যেই ঘটে বিপত্তি। দিনের আলোতেই আস্ত একটা রোড রোলার লোপাট। ঠিকাদারী সংস্থা থেকে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সিঙ্গুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পথচারীদের মানবিক মুখ চুঁচুড়ায়
অভিযোগের ভিত্তিতে চুরি হয়ে যাওয়ার রোড রোলার খোঁজ শুরু হয়। পুলিশি সূত্রের খবর, সিঙ্গুর ও গুরাপ থানার তৎপরতায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খোঁজ মেলে রোড রোলারটির। সঙ্গে বাড়তি পাওনা এক বিশালাকায় ষোলো চাকার ট্রাক। যেটির সাহায্যে তোড়জোড় চলছিলো চোরেদের ঠিকানায় রোলারটিকে পৌঁছে দেওয়ার। কিন্তু মাঝপথেই সে ছক বানচাল করে দিয়ে হুগলী গ্রামীণ পুলিশ গ্রেফতার করে চার দুষ্কৃতীকে।
আরও পড়ুনঃ লোক আদালতে বিচার বিভাগীয় চেয়ারে পাহাড়জয়ী বঙ্গ কন্যা পিয়ালী
পুরো বিষয়টির শেষেও গ্রামীন পুলিশের আধিকারিকদের মধ্যে খটকা থেকেই যাচ্ছিল। তবে কি সত্যি কারের বাঁটুলই এসে গাড়িটিকে চাগিয়ে ট্রাকের উপর তুলে দিয়েছে? সে প্রশ্নের উত্তর মেলে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চোরের দল নিয়ে এসেছিল আস্ত একটি ক্রেন, যার সাহায্যেই রোলারটিকে চাপানো হয়, ট্রাকের ওপর। খবর প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত খোঁজ চলছে সেই ক্রেনটিরও। এই বিষয়ে গ্রামীণ পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেন।
Rahi Haldar