বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলার পর ২০১৭ সালে অধিগৃহীত ডানলপ কারখানার গেটের দেওয়ালে ঝোলানো হয় লিকুইডেটরের নোটিস। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় লিকুইডেটরের সংস্থা হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ এবং তামিলনাড়ুতে অবস্থিত অম্বাত্তুরের ডানলপ কারখানার স্থাবর অস্থাবর বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা গন্ডা মেটাবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ডানলপের কারখানাটির মূল্য কত তা পরিমাপ করে জানা যায় ৩০০ কোটি টাকার কিছু বেশি মূল্য হুগলীর সাহাগঞ্জ কারখানার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেলে না চিকিৎসা! বরং চলে নেশার আড্ডা
লিকুইডেটরদের পক্ষ থেকে কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে শ্রমিকদের কি পাওনা গন্ডা আছে সেই কাগজও জমা দিতে বলা হয়। ডানলপ কারখানার সইআইটিইউ সহ আরও ২টি স্বীকৃত ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও এই কাগজ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেই মর্মে ডানলপ কারখানার কর্মরত ১৪১৫ জন শ্রমিকের পিএফ বাদে বকেয়া মূল্য নির্ধারিত হয় ১৯ কোটি ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ইতি মধ্যেই জানা যায় নিলাম পক্রিয়ার মধ্যে থাকা ডানলপ কারখানা তাদের লোগো বিক্রি করে দিয়েছে রেলসন টায়ার কে। যা নিয়ে শ্রমিক মহল্লা তে বিভিন্ন রকম আলোচনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ল'ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠা দিবসে রক্তদান শিবির ও বস্ত্র বিতরণ
সাহাগঞ্জ ডানলপ কারখানার শ্রমিকরা জানান কারখানার অধিকাংশ যন্ত্র পাতি চোরাই পথে বিক্রি হয়ে গেছে।নষ্ট হয়েছে বহু সম্পত্তি। ৫৬ একর জমিতে থাকা কারখানার কিছু অংশ এখন বিক্রি হবে। আমরা চাই সরকার আমাদের পাওনা গন্ডা মিটিয়ে দিক। ডানলপ কোয়াটারে থাকা এক শ্রমিক দীপক সিংহ বলেন, আগেই ভালো ছিলাম। এখন তো না মরে বেঁচে আছি, শুনেছি কারখানা নিলাম হবে । শ্রমিক রা তাদের পাওনা গন্ডা পাবে। আমরা এখনও চাই শিল্পের জমিতে শিল্প হোক। আমাদের ঘরের ছেলে মেয়েরাও যেন কিছু করে খেতে পারে।
Rahi Haldar