রাধিকার স্বামী আয়ন ঘোষ এসে দেখেন রাধিকা কালি পুজো করছেণ, প্রেমিকা কে অপমানের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ কালির রূপ ধরেন, যা কৃষ্ণকালী নামে পরিচিত, রাধিকার কালি পূজার এই কথা রটে গিয়ে ছিল বলে এই তিথিতে কালি পূজা কে রতন্তী কালি পূজা বলা হয়, এখন বটকৃষ্ণ ঠাকুরের সুযোগ্য পুত্র কালিপদ অধিকারী (পণ্ডিত শিবানন্দপুরী ) এই পঞ্চমুন্ডের মন্দিরে সাধনা করেন। আর সারা বছর এই বৈষ্ণব বাড়ি তে পূজিতা হোন মা সবুজ কালি। ৭০বছর পিছনে নিয়ে যাই আপনাদের, এই গ্রামেরই এক দরিদ্র গোড়া বৈষ্ণব পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন বটকৃষ্ণ অধিকারী মহাশয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে খোদ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী, আটক লরিচালক, শুরু তদন্ত
বৈষ্ণব সূলোভ আচরণ ছোট থেকেই জন্ম সূত্রে পেয়েছিলেন অধিকারী মশাই। সেই সময়ে ম্যাট্রিক্স পাস করেছিলেন তিনি ভিন রাজ্যে চাকরিও জুটে ছিল তার কিন্তু মা তার ছেলেকে আবারো ডেকে নেয় কাছে। সংসার ধর্ম করার পরেও তন্ত্রসাধনার দিকে আগ্রহ ছিল তার বেশি। একসময় তিনি শ্মশানে সাধনা করতে করতে সিদ্ধি লাভ করেন, এবং স্বপ্নাদৃষ্ট হয়ে মা কালির মন্দির তিনি প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও পড়ুনঃ এ কী কাণ্ড! উদ্বোধনের আগেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল শপিংমলের ছাদ, আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দরা
কিন্তু কুলীন বৈষ্ণব পরিবারে জন্ম তাঁর বাড়ি তে কেউ তিলক সেবা রাধা গোবিন্দের নাম না করে জল স্পর্শ করেন না, সেই বৈষ্ণব বাড়ি তে কালি পুজো তৎ কালীন সমাজ এর মাথারা বললেন নৈব নৈব চ, কিন্তু সমস্ত বাধা অতিক্রম করে তিনি বাড়ি তে কালির ঘট স্থাপন করলেন। পরে আবার ও স্বপ্নদ্ষ্ট হোন যে মা এর মূর্তি প্রতিস্থাপন এর, কিন্তু এ কি!! এত কালো বা নীল নয়, এত নব দুর্বার ওপর শ্যাম ও শ্যামা এক সাথে, এবং কৃষ্ণ ও কালির আদেশে বটকৃষ্ণ ঠাকুর রতন্তী কালিপূজার দিন প্রথিষ্ঠা করেন এই সবুজ কালিমাতা কে।
Rahi Haldar