হুগলির ব্যান্ডেলের বিশালক্ষ্মীতলা, মালপাড়ার মত বেশ কয়েকটি গ্রামে পানীয় জলটুকু না পেয়ে জীবন ওষ্ঠাগত গ্রামবাসীদের। গরম পড়তে সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। গত কয়েকদিনে এই এলাকার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সময় জলের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু যোগান একেবারেই নেই।
আরও পড়ুন: ক্যামেরা ছেড়ে শরবতের গ্লাস হাতে এগিয়ে নেন ফটোগ্রাফাররা
advertisement
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়িতে জলের লাইন নেওয়ার জন্য তাঁরা টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু ঠিকভাবে পানীয় জল পাওয়া যায় না, সরবরাহে বিশাল ঘাটতি আছে। অনেক বাড়িতে জল পৌঁছয় না। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়ক, সকলকে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার অভিযোগ পেয়ে এলাকা ঘুরে গিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
এই জন কষ্ট প্রসঙ্গে দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের সদস্য পীযূষকান্তি ধর বলেন, জলের সমস্যা আছে এটা বাস্তব। আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষের কাছে জল পৌঁছে দেওয়া যায়। তীব্র গরমে জলের স্তর নেমে যাওয়ায় পাম্প চালিয়ে ওভার হেড রিজার্ভার ভর্তি করতে সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েতে দুটি মাত্র রিজার্ভার আছে। ফলে জলের পুরো চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, তীব্র গরম পড়ায় ঠিকাদারের লোকজনও কাজ করতে চাইছে না। আরও দুটি পাম্প বসানোর জন্য পিএইচই-কে বলা হয়েছে।
স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘জলের নতুন পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। অবরোধ করলে সমস্যার সমাধান হয় না। বিজেপির ইন্ধনে অবরোধ হচ্ছে। বিধায়কের এই কথায় ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, জলকষ্টে তিতিবিরক্ত সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমেছেন। বিধায়ক তাতে রাজনীতি মেশাচ্ছেন। বিজেপি নেতা সুরেশ সাউয়ের প্রতিক্রিয়া, ‘জল না-পেয়ে মানুষ পথে নামছেন। জলের ব্যবস্থা না করে বিধায়ক বিজেপির ভূত দেখছেন।’
এদিকে গ্রামবাসী মানস বিশ্বাস বলেন, জলের সমস্যা না মিটলে গ্রামের কেউ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না।
রাহী হালদার