তবে তার জন্য অধিক অর্থ দিতে হবে এটাও কখনও আশা করা যায় না। স্থানীয় এক চিকিৎসক ডক্টর এসপি দে জানান, অর্থের বিনিময়ে তাড়াতাড়ি শব দেহ সৎকার সমাজের মধ্যে ধনী দরিদ্রের বৈষম্যতাকে প্রশ্রয় দেয়। তিনি আরও জানান, যদি কোন সংক্রামক ব্যাধিতে মৃতের পরিবার সৎকারের জন্য ওই শ্মশানে আসে তাহলে জনগণের সুরক্ষার স্বার্থে তাকে আগে সৎকার করতে দেওয়া উচিত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চন্দননগরের একাধিক স্কুলের বেহাল দশা! ঠিক কী কারণে এই অবস্থা?
সেখানে যদি ওই পরিবারের সামর্থ্য না থাকে দ্বিগুণ অর্থ দিয়ে শব দাহ করার তাহলে তখন তাদের লাইনেই দাড়িয়ে থাকতে হবে। এতে সমাজের মধ্যে ধনী এবং দরিদ্রের এক বিশেষ বৈষম্য তৈরি হবে যা আখেরে সুধী সমাজের ক্ষেত্রে কাম্য নয়। পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন শিল্পী চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রতিদিন এই স্থানে প্রচুর ভিড় হয়। রয়েছে মাত্র দুটি ইলেকট্রিক চুল্লি। দুটোই যদি একসঙ্গে ব্রেক ডাউন করে তাহলে সাধারণ মানুষকে আরো হয়রানিতে পড়তে হবে।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু দমনের অভিনব উদ্যোগ! জলাশয় গুলিতে ছাড়া হল গাপ্পি মাছ
তাই একটাকে স্পেশাল রাখা হয়েছে। যারা অপেক্ষা করতে পারে না। তারা এই পরিষেবা নিতে পারে। তৎকালে সৎকার পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমাজের প্রগতিশীল শ্রেণীর মানুষেরা। তাদের দাবি জনগণের স্বার্থে যদি তৎকাল শব দেহ সৎকার হয় তবে তা ভালো উদ্যোগ। কিন্তু বর্তমানে যা ঘটছে তা সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক রূপে ব্যবহার করা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
Rahi Haldar