পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’বছর আগের ডাকাতির ঘটনায় চারজন জড়িত থাকলেও তারা তিনজনকে এখনও পর্যন্ত ধরতে পেরেছে। পুলিশের চার্জশিট থেকে এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য জানা গিয়েছে। ডাকাতির আগে অত্যাধুনিক জ্যামার ব্যবহার করে গোটা এলাকার নেটওয়ার্ক স্তব্ধ করে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তারপর বন্দুক হাতে ওই গোল্ড লোন সংস্থার অফিসে হানা দিয়ে লুটপাট চালায়। পুলিশের সঙ্গে রাস্তার উপর গুলির লড়াইয়েও জড়িয়ে পড়েছিল তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: স্টোন ডাস্টে ধস ভরাট ইসিএলের, তবুও ফিরছে না ভরসা, তীব্র হচ্ছে পুনর্বাসনের দাবি
২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে বেসরকারী স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি হয়। ডাকাতির খবর পেয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ ও গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। ডাকাত দল সোনা নিয়ে পালাতে গিয়ে পুলিশের মুখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও পালটা জবাব দেয়। চন্দননগর থেকে দুই দুষ্কৃতীকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। নাকা চেকিং শুরু হয় বিভিন্ন পয়েন্টে। চুঁচুড়ার তুলোপট্টি ঘাটের কাছে আরও এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে পুলিশ। তবে চতুর্থজন চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়
হুগলি জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় এদিন জানান, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত ধৃতদের দোষী সাব্যস্ত করেছে। পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ডাকাত দলকে ধরেছিল।
রাহী হালদার