স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে ডানকুনি কোল ইন্ডিয়া সংলগ্ন রাস্তার উপরে এক সাপুড়েকে দেখা যায় সাপ দেখিয়ে লোকের থেকে টাকা আদায় করতে। স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই ব্যক্তি তাদেরকে জানায় তার কাছে এমন একটি সাপ রয়েছে, যাকে টাকা দিয়ে প্রণাম করলে মানুষের মঙ্গল হবে আর যারা করবে না তাদের অমঙ্গল হবে। ভন্ড ঐ ব্যক্তির নাম চৌবে নাথ। তিনি নাকি কানপুরের বাসিন্দা। স্থানীয় মানুষদের সন্দেহ হয় যে সাপটি ওই ব্যক্তির কাছে রয়েছে তার ওপরে নির্যাতন করা হয়েছে।
advertisement
খবর দেওয়া হয় স্থানীয় এক পশুপ্রেমী সমীরণ বারিককে। স্থানীয়দের সন্দেহ সঠিক হয় যখন সমীরণের কাছে সাপটিকে নিয়ে পৌঁছায় স্থানীয়রা। স্থানীয়দের কাছে সমীরণ পরিচিত একজন পশুপ্রেমী ও অ্যানিম্যাল রেসকিউয়ার হিসাবে। কারোর বাড়িতে সাপ ঢুকে পড়লে ডাক পড়ে সমীরণের। সমীরণ ওই সাপটিকে দেখে জানায় সাপটির বিষ গ্রন্থী কেটে নেওয়া হয়েছে। যার ফলে সাপটি আর হয়তো বেশি দিন বাঁচবে না। এই ধরনের সাপুড়ে লোকেরা সাপেদের বিষ গ্রন্থি কেটে নিয়ে তাআলাদাভাবে বিক্রি করে দেয়।
আরও পড়ুনঃ বেড়াতে গিয়েছিলেন পুরী, কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না আর! পথ দুর্ঘটনায় মৃত হুগলির তিন বাসিন্দা
বিষ গ্রন্থি কেটে নেওয়ার পর মাস দুয়েক হয়তো সাপটি বেঁচে থাকবে। ততদিনে ওই লোকটি সাপটিকে নিয়ে বিভিন্ন লোককে ভয় দেখিয়ে তাদের থেকে টাকা আদায় করবে। সাপটি মারা গেলে আবার নতুন সাপ ধরে একই কাজ করবে তারা। তিনি আরও জানান, সাপেদের বিষগ্রন্থি তাদের খাদ্য পাচনের প্রক্রিয়ায় কাজে লাগে। মানুষের লালা রস যেভাবে কাজে লাগে ঠিক তেমনি সাপেদের বিষ গ্রন্থী ও একই কাজ করে। বিষগ্রন্তি না থাকলে সাপেরা বেশিদিন আর বাঁচতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ ভেঙে পড়ল চন্দননগর মহকুমা আদালতের ছাদের একাংশ!
খাবার না খেয়েই তারা মারা যায়। এমনটি ঘটবে এই সাপটির সাথেও। তবে যতদিন ওই সাপটি বেঁচে থাকবে তাকে পুনরায় তার বন্য জীবনে ফিরিয়ে দিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বন্যপ্রাণীদের উপর নির্যাতন করে যেভাবে ওই ব্যক্তি পয়সা আদায় করছে তা অপরাধ। বন্যপ্রাণীদের উপর আক্রমণ করে তা কখনোই একজন মানুষের উপার্জনের পথ হতে পারে না। স্থানীয়রা পুলিশের কাছে খবর দিতে গেলে সাপ ফেলে ভন্ড ওই ব্যক্তি ওই জায়গা ছেড়ে চম্পট দেয়।
Rahi Haldar