আরও পড়ুন: চিত্র প্রদর্শনীতে চন্দ্রযানের সাফল্য উদযাপন
উলু ঘাস জমি থেকে কেটে বাড়িতে তোলা হয়। এরপর সেই ঘাস শুকিয়ে গেলে তা দিয়ে ছোট-বড় সমান মাপে কেটে ঝাড়ু তৈরি করেন কারিগররা। এরপর সেই ঝাড়ু বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হয়। এই কাজের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম হয়। প্রতিদিন প্রায় নব্বই-একশোটি ঝাড়ু সারাদিনে তৈরি করতে হয়। বেশ কয়েকটি একসঙ্গে বোনা সম্পূর্ণ হলে পাইকার এসে সেই ঝাড়ু পাইকারি দরে নিয়ে গিয়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা হিসেবে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন হাটে বাজারে।
advertisement
বাজারে জিনিসের দাম অগ্নিমূল্য হওয়ার ফলে উলু ঘাস চাষ করা বড়ই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, কোনরকম সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ায় আরো অসহায় অবস্থায় পড়েছেন এই ঝাড়ু তৈরির কারিগররা। এখন বিশ্বজুড়ে মেশিন দিয়ে তৈরি রকমারি ঝাড়ুর কাছে হাতের কাছে পাওয়া যায়। ফলে এই প্রাচীন পদ্ধতিতে তৈরি ঝাড়ুকে প্রতিনিয়ত কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু ঝাড়ু তৈরির কারিগররা প্রতিদিন প্রচন্ড পরিশ্রম করেও সেই অনুপাতে আয় করতে পারছেন না।
সুস্মিতা গোস্বামী