জানা গিয়েছে, গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ন’টি পৃথক মামলায় আদালত দোষীদের সাজা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে চারটি মামলায় হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। জেলা পুলিশের দাবি, দ্রুত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত, ধারাবাহিক মনিটরিং এবং সাক্ষ্য গ্রহণে ভিডিও কনফারেন্সিং প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহারের ফলেই এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। আগে আসামিদের হাজির করা গেলেও সাক্ষ্যগ্রহণে দীর্ঘ প্রক্রিয়া দেখা যেত। প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে সেই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়েছে।
advertisement
জেলা পুলিশের দাবি, এই মামলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত রয়েছে কুমারগঞ্জের নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের মামলা এবং তপনের এক গৃহবধূকে খুন করে মৃতদেহ লোপাটের ঘটনা। পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তকারী অফিসাররা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন। উর্ধ্বতন কর্তাদের নিয়মিত তত্ত্বাবধানও এই সাফল্যে বড় ভূমিকা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী আজ শাক বেচেন, সকাল হলেই বেরিয়ে পড়েন সাইকেল নিয়ে! মাসে পান মোটা পেনশনও
সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তীর মতে, “জেলার তদন্তকারী সংস্থা দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে মামলা আদালতে পেশ করার দক্ষতা এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।” জেলা পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বর্তমানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় দ্রুত কনভিকশন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। পুলিশ ও প্রসিকিউশনের এই সমন্বিত উদ্যোগে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও মজবুত হচ্ছে বলে মত প্রশাসনিক মহলের।
