সারা বছর মাটির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করলেও, বড়ো বড়ো উৎসব আসতে না আসতেই ঠিক এই সময় থেকে প্রদীপ তৈরির উপরেই জোর দেওয়া হয়।দক্ষিণ দিনাজপুর ছাড়াও শিলিগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর,বহরমপুর ইত্যাদি জায়গায় চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি বাড়তে থাকে এই রঙ্গলি প্রদীপ। প্রদীপ যাতে শুধুই প্রদীপ না হয়ে ঘর সাজানোর সামগ্রী হয়ে ওঠে সেই দিকটা বিবেচনা করতে শুরু করেছেন প্রদীপ নির্মাতারা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! ইট বোঝাই ট্রাক্টরের নীচে চাপা পড়ল দুই বাইক আরোহী
মূলত উত্তর ভারত আর দক্ষিণ ভারতে প্রচলন ছিল রঙ্গোলি প্রদীপের। তবে পশ্চিমবঙ্গেও এখন প্রচলিত এই প্রদীপ। পাশাপাশি ব্যাপক প্রচলন দেখা দিয়েছে এই প্রদীপের।
আরও পড়ুন: রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়ে আর ফেরা হল না ব্যক্তির! ভয়ঙ্কর কাণ্ড ডায়মন্ডহারবারে
মৃৎশিল্পী উৎপল পাল বলছেন, “গত কয়েক বছরে প্রদীপের বিক্রি একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল। কিন্তু করোনা মহামারির বছর থেকে নানা রকমের রঙ্গলি প্রদীপের চাহিদা ক্রমশ বেড়েছে। অনেকেই পুরোনো আমলের মত প্রদীপের কম্বিনেশন চাইছেন। চিনা আলোর জোগান তুলনামূলক কম হওয়ার জন্যই হয়তো এবার প্রদীপের চাহিদা অনেকটা বেশি।”
এই সমস্ত নকশা করা প্রদীপের দাম ১০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৫০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। সাধারণ প্রদীপ ছাড়াও তিনমুখী, পাঁচমুখী প্রদীপও রয়েছে।তাছাড়াও রয়েছে আরও রকমারি নকশার প্রদীপ।যা বাইরের অনেক জেলার নজর কেড়েছে।
সুস্মিতা গোস্বামী