বছরের এই সময় তাদের নাওয়া খাওয়ার সময় থাকে না একদম। সকাল ৬'টা থেকে শুরু প্রায় সারা রাত চলে তাদের মূর্তি গড়ার কাজ। তবে এই কাজ চলে দফায় দফায়। শুধুমাত্র কোচবিহার নয়, পার্শ্ববর্তী অসম থেকেও প্রচুর মূর্তির অর্ডার আসে। সেখানেও যোগান দিতে হয় প্রতিমা। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০০-৩৫০ মূর্তি তৈরি করতে হয় এই সময়। ইতিমধ্যেই ভিনরাজ্যে বিপনণের জন্য মূর্তির কাজ অনেকটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিছু কাজ বাকি রয়েছে তবে তা অবিলম্বে শেষ হয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দেবীর রঙ পরিবর্তনের চিন্তাতেও ঘটেছিল বিপদ, প্রাচীন রীতি মেনে আজও চলছে বেল বাড়ির দুর্গাপুজো
বিগত দুই বছরের করোনা আবহ কাটিয়ে এবার স্বাভাবিক ছন্দে বাংলার শারদ উৎসব। আর সেই কারণেই উন্মাদনা অনেকটাই বেশি রয়েছে শারদ উৎসবকে ঘিরে। মহিলা প্রতিমা শিল্পীরা বলেন, "পুরুষরা শুধুমাত্র হাত লাগায় মূর্তির কাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে। শুধুমাত্র কাঠামো গড়ে দেওয়ার ছাড়া বাকি সম্পূর্ণ কাজ তাঁরাই করেন।" বারোটি পরিবার রয়েছে যারা শুধুমাত্র মূর্তি নির্মাণ এবং মাটির অন্যান্য সামগ্রী তৈরীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুর থাকে সারা বছর, উলুবেড়িয়ার বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজোর অন্য ইতিহাস
এ বছর মূর্তির চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে, বেড়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তাই সব মিলিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। যদিও বা তার সাথে রয়েছে সংসারের কাজের চাপ। ভোর ৫'টায় উঠে স্নান করে বাড়ির কাজ করে তারপরে এই মূর্তি তৈরির কাজে হাত লাগাতে হয়। মাঝে এক ফাঁকে সারাদিনের রান্নার কাজ সেরে নেন তাড়াতাড়ি। এ ভাবেই চলছে বিগত প্রায় মাস দুয়েক ধরে। তবে চলতি বছর তারা অনেকটাই খুশি মূর্তির চাহিদার বৃদ্ধির কারণে।
Sarthak Pandit