পুজো কমিটির সদস্যরা আশা রাখছেন দুর্গা পুজোর চতুর্থীর দিন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে মণ্ডপটি। পুজো কমিটির সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সরকার জানান, "দীর্ঘ দু'বছর করোনা আবহের পর আমরা আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে আসছি। তাই পরিবেশকে সম্পূর্ণ রকম দূষণমুক্ত রাখতে আমরা এই থিমের চিন্তাভাবনা করেছি। আমাদের এই থিমের নাম 'আমায় মুক্ত করো'। মূলত সমগ্র পরিবেশ গোটা মানব সমাজের কাছে আবেদন রাখছে, যেন তাকে সমস্ত রকম দূষিত পদার্থ থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব হয়।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিহারের মধুবনী চিত্রকলা দেখতে চান? তাহলে অবশ্যই আসুন কোচবিহার সংহতি ক্লাবের মণ্ডপে
এছাড়াও পুজো কমিটির কোষাধক্ষ্য সুব্রত সিনহা বলেন, "এ বছর আমাদের পুজোর মোট বাজেট থাকছে সাড়ে আট লক্ষ টাকা। এখনো পর্যন্ত আমাদের সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আমরা আশা রাখছি আমাদের এই থিম কোচবিহার বাসির দারুন পছন্দ হবে”। পরিবেশকে দূষণ থেকে মুক্ত রাখতে এবং মানব সমাজের ভবিষ্যৎ দিনে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পরিবেশবান্ধব উপায়ে যে থিম তৈরি করা হচ্ছে তা কোচবিহারবাসীর মনে দাগ কাটবে এমনটাই আশা করছেন গুড়িয়াহাটি ক্লাবের সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ দশ দফা দাবি নিয়ে অনশনের ডাক জেলা ভূমি ও বাস্তুহারা কল্যাণ সমিতির
এবছর কোচবিহার বুকে যে সমস্ত পুজো মণ্ডপ পরিবেশের উপর সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে তাদের মধ্যে এই পুজো মণ্ডপটি অন্যতম সেরা পুজো মণ্ডপ হয়ে উঠবে এমনটাই আশা করছেন কোচবিহারের বাসিন্দারা। কোচবিহারের বাসিন্দারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন গুড়িয়াহাটি ক্লাবের পুজো মণ্ডপটি উদ্বোধন হওয়ার আশায়।
Sarthak Pandit