তবে চোর তেমন কিছুই চুরি করে নিয়ে যেতে পারেনি বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও স্থানীয়রা দ্রুত খবর পাঠান ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। সরেজমিনে দেখে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল চেকড্যাম, তবু আজও পড়ে রয়েছে বেহাল অবস্থায়!
advertisement
ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশিয়ার বাড়ি এলাকার পঞ্চানন পল্লি গ্রামের মধ্যে। স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, গভীর রাতে চুরি করার উদ্দেশ্যে পঞ্চানন পল্লি গ্রাম এলাকায় ৬টি বাড়িতে সিঁদ কেটে ঘরের ভেতরে ঢোকে চোর।
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকারের পর দুয়ারে ডাক্তার, পোলবার বাসিন্দাদের চিকিৎসায় শহরের চিকিৎসকরা
তবে আশ্চর্যের বিষয়, ঘরের ভেতরে ঢুকলেও তেমন কোনও কিছুই নিয়ে যায়নি ওই চোর। বেছে বেছে যে ঘরগুলিতে ছোট শিশু থাকে সেই ঘরগুলিতেই ঢুকেছিল ওই চোর। তবে কি ছোট শিশু চুরি করতেই এসেছিল চোর? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
নিরঞ্জন বর্মন নামে এক ব্যক্তি কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। তাঁর স্ত্রী, পুত্র-সহ একটি ঘরে থাকেন। আর সেই ঘরেই ঢুকেছিল ওই চোর। ঘরের আলো জ্বালানো থাকায় রাত প্রায় ২.৩০টে নাগাদ আচমকা ঘরের ভেতর একজনকে মশারির ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিতে দেখেন নিরঞ্জনের স্ত্রী। তখনই তিনি চিৎকার শুরু করেন। সেই চিৎকার শুনে চোর পালিয়ে যায়।
পাশের ঘরে থাকা শ্বশুর শাশুড়ি সেই ঘরে এসে দেখেন ঘরের ভেতর বিশাল বড় গর্ত খুঁড়ে চোর ঢুকেছিল। তারপর বুধ বার সকাল হতেই পর পর আরও পাঁচটি বাড়িতে সিদ কাটার কথা চাউর হতেই এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল। যদিও ঘটনার খবর পেয়ে কুশিয়ার বাড়ি পঞ্চানন পল্লি গ্রামে ছুটে আসেন ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশ। তবে এই গোটা ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
Sarthak Pandit