১৮ বছর বয়স থেকেই রক্ত দিয়ে আসছেন শঙ্করবাবু। তবে তাঁর ইচ্ছে রক্তদানের সেঞ্চুরি করা। কোচবিহারে বাড়ি হলেও ৭৩ তম রক্তদান করলেন জলপাইগুড়িতে। পরবর্তী রক্তদান অর্থাৎ ৭৪ তম রক্তদান করতে চান ডায়মন্ডহারবারে।
আরও পড়ুন: বাগনানের এই গ্রামে ৫০০ বছর ধরে শাঁখা তৈরি হয়ে আসছে
সমাজের প্রতি তাঁর এই দায়িত্ববোধ প্রসঙ্গে শঙ্কর রায় বলেন, ট্যাক্সি চালাতে গিয়ে মানুষের অসহায় অবস্থা ভালোভাবে প্রত্যক্ষ করেছি। সেখানে যেমন আর্থিক দুরবস্থা আছে, তেমনই রক্তের সঙ্কটে মানুষ কীভাবে বিপদে পড়ে তা দেখেছি। আর তাই প্রতি তিন মাস অন্তর রক্তদান করে যেতে চাই। যদি আমার রক্তে কারোর উপকার হয় তাহলেই আমি খুশি হব।
advertisement
জলপাইগুড়ির ফাইট ব্যাক কোভিড নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শঙ্কর রায়ের ৭৩ তম রক্তদানের বন্দোবস্ত করে। ওই সংস্থার সম্পাদক তন্ময় সেনগুপ্ত বলেন, শঙ্করবাবু দীর্ঘদিন ধরে বহু মানুষের উপকারের জন্য রক্তদান করেছেন। তবে এবার তিনি আমাদের কাছে আবেদন করেন নিজের ৭৩ তম রক্তদান করতে চান জলপাইগুড়িতে। তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণ করতেই জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
শঙ্কর রায়ের চান তাঁকে দেখে যুবসমাজ স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে এগিয়ে আসুক। আর তাই নিজের জেলা ছাড়াও নানান জায়গায় ঘুরে ঘুরে রক্তদান করেন, যাতে সব জায়গার মানুষ তাঁকে দেখে উদ্বুদ্ধ হন। এতে আখেরের সমাজেরই মঙ্গল হবে বলে তিনি মনে করেন।
সার্থক পণ্ডিত ও সুরজিৎ দে