Howrah News: বাগনানের এই গ্রামে ৫০০ বছর ধরে শাঁখা তৈরি হয়ে আসছে

Last Updated:

হাওড়ার বাগনানের শাঁখারী পাড়ায় প্রায় ৫০০ বছর আগে শাঁখা তৈরি শুরু হয়। ধীরে ধীরে এখানকার শঙ্খ শিল্পীদের নাম ভারত বিখ্যাত হয়ে ওঠে।

+
title=

হাওড়া: বাংলার শঙ্খ শিল্পী বা শাখা তৈরির কারিগরদের একসময়ের জগৎজোড়া নাম ছিল। তাঁদের হাতের সেই অনবদ্য সূক্ষ কাজ দেখে অনেক নামিদামি মানুষ, রাজা-মহারাজারা পর্যন্ত তারিফ করতেন। বাগনানের শাঁখারী পাড়াতে এক সময় এমন বহু শিল্পী থাকতেন। কিন্তু দিন বদলেছে। এখন শাঁখা তৈরি ও তার উপর কারুকাজ মেশিন করে। তাকে শুধু দক্ষভাবে চালানোর জন্য প্রয়োজন পড়ে শঙ্খ শিল্পীর। তবে দিন বদলালেও চোদ্দ পুরুষের পেশা ছেড়ে যেতে পারেননি লালটু দত্তরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের পরিবর্তন করে তাঁরাও এখন মেশিন দিয়েই তৈরি করছেন শাঁখা।
হাওড়ার বাগনানের শাঁখারী পাড়ায় প্রায় ৫০০ বছর আগে শাঁখা তৈরি শুরু হয়। ধীরে ধীরে এখানকার শঙ্খ শিল্পীদের নাম ভারত বিখ্যাত হয়ে ওঠে। লোহার ফাইল করাত ও ছোট ছোট হাতুড়ির সাহায্যে তাঁরা কী নিপুণ দক্ষতায় শরু শরু শাঁখার উপর অনবদ্য সব নকশা ফুটিয়ে তুলতেন। এই গ্রামের মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শাঁখা তৈরিকেই জীবিকা হিসেবে বেছে এসেছে। কিন্তু কিছু বছর আগে আধুনিক প্রযুক্তির মেশিনে এসে গোটা ছবিটাই বদলে দেয়।
advertisement
advertisement
মেশিনের শাঁখা তৈরি শুরু হলে বাগনানের শাঁখারী পাড়ার শিল্পীদের কাজের বরাত ক্রমশ কমতে থাকে। শেষমেষ এই গ্রামের যুবক লালটু দত্ত ওড়িশায় গিয়ে মেশিনের শাঁখা তৈরি করা শিখে আসেন। তাঁর হাত ধরেই শাঁখারী পাড়ায় শুরু হয় মেশিনে শাঁখা তৈরির কাজ। ধীরে ধীরে এলাকার বাকি শঙ্খ শিল্পীরাও মেশিনে কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন।
advertisement
এদিকে এর আগে শাঁখা তৈরির প্রধান মাল শাঁখ বা শঙ্খ শ্রীলঙ্কা থেকে মূলত আসত। কিন্তু সেখান থেকে রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কাঁচামালের জোগান নিয়ে একটা সঙ্কট দেখা দেয়‌। পরবর্তীতে অবশ্য সেই সঙ্কট কেটেছে। বর্তমানে বিশাখাপত্তনম ও রামেশ্বরম থেকে শঙ্খ আসে।
লালটু দত্ত জানালেন, বর্তমানে একটি শঙ্খর দাম ৬০০-৮০০ টাকা পড়ে। মূলত তিন ধরনের শঙ্খ পাওয়া যায়- খোগা, তিতকুটি ও শিঙ্গি। খোগার সরবরাহ সবচেয়ে বেশি। যদিও এর দাম তিতকুটি ও শিঙ্গির তুলনায় কম। রামেশ্বরম ও বিশাখাপত্তনম থেকে কলকাতায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা শঙ্খ নিয়ে আসেন। সেখান থেকেই চাহিদা মত শাঁখা ব্যবসায়ীরা কাঁচামাল কেনেন। প্রথমে হাতুড়ির ঘায়ে শঙ্খগুলোর মুখ ভেঙে দিতে হয়। এরপর শঙ্খগুলিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হয়। পরবর্তী পর্যায়ে হয় শঙ্খ কাটিং।
advertisement
শাঁখা তৈরির প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে গিয়ে লাল্টু দত্ত জানান, মোটা শঙ্খ থেকে দুটি অর্থাৎ একজোড়া শাঁখা তৈরি হয়। শরু শঙ্খ থেকে চারটি শাঁখা পাওয়া যায়। কাটিংয়ের পর শাঁখাগুলিকে গোল করতে হয়। কাজের উপযোগী হলে সেগুলো উপর নকশা অংকন করা হয়। সাধারণ নকশার শাঁখার দাম তুলনামূলকভাবে কম। তবে সোনা বাঁধানো শাঁখার দাম ৫০০-৬০০ টাকা থেকে ২০০০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে গোটাটাই নকশার ওপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ হয় বলে তিনি জানান। লাল্টু দত্তের কথায়, একজন দক্ষ শঙ্খ কারিগর দৈনিক ৫০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। তবে মহিলারা দৈনিক ২০০ টাকা করে সাধারণত উপার্জন করেন।
advertisement
রাকেশ মাইতি
view comments
বাংলা খবর/ খবর/হাওড়া/
Howrah News: বাগনানের এই গ্রামে ৫০০ বছর ধরে শাঁখা তৈরি হয়ে আসছে
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement