আরও পড়ুন: ক্রীড়া প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজিত হল খড়গ্রামে
বর্তমানে কোচবিহারের এই সংস্কৃত কলেজের মাঠে একটি নার্সিংহোমের তরফ থেকে তাদের অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়। সব মিলিয়ে রাজ আমলের এই কলেজের নাম প্রায় বিলীন হওয়ার মুখে। বিষয়টা নিয়ে মন খারাপ শহরের প্রবীণ নাগরিকদের। তাঁরা চান, সংস্কৃত কলেজ আবার তার পুরনো গৌরব ফিরে পাক।
advertisement
শহরের প্রবীণ নাগরিক আনন্দজ্যোতি মজুমদার বলেন, কোচবিহারের রাজ আমলে বেশ জমজমাট ছিল এই সংস্কৃত কলেজ। এখানের বেশ কিছু পুঁথি আজও সংরক্ষিত আছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় গ্রন্থাগারে। তবে এত ভালো মানের একটি কলেজ চোখের সামনেই কেমন যেন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। একটা সময়ের সংস্কৃত চর্চার কেন্দ্র বর্তমান সময়ে ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে কোচবিহার জেলার বেশিরভাগ কলেজেই সংস্কৃত ভাষা নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে। ফলে এই সংস্কৃত কলেজের গুরুত্ব আরও কমেছে। এই পুরনো কলেজটি একসময় ঠিক কতটা গুরুত্ব ধরত তা বোঝাতে গিয়ে আনন্দজ্যোতি মজুমদার জানান, কোচবিহারের মহারাজার দরবারে অনেকসময় সংস্কৃত ভাষায় কথোপকথন হত। তাই দেখে নবদ্বীপ থেকে আগত পন্ডিতেরা রীতিমত আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন। পুরনো ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে এই সংস্কৃত কলেজের অস্তিত্ব বজায় রাখা জরুরি বলে তিনি জানান।
কোচবিহার খবর (Cooch Behar News)
সার্থক পণ্ডিত