সেতুর কাজের বিষয়ে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান কবিতা দাস বলেন, "আমি সঠিক কিছুই জানিনা। কেন এই কাজ বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। তবে কাজ যাতে দ্রুত শুরু করা হয়। সেই জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।" স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, 'এই সেতুটি তৈরি হলে নাটাবাড়ি ধলপল হেরিটেজ রাস্তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে রসিকবিল পিকনিক স্পট সহ কামাখ্যাগুড়ি, রামপুর এমনকি অসমের সঙ্গেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
advertisement
এছাড়াও কোচবিহার থেকে সরাসরি নাটাবাড়ি ধলপল হেরিটেজ রাস্তা ধরে এই সেতুর উপর দিয়ে রসিকবিল সহ অসমের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে ধলপল এলাকার উন্নয়ন হবে বলে এলাকাবাসীরা মনে করেন। এখন কোচবিহার থেকে অনেকটাই ঘুরপথে তুফানগঞ্জ হয়ে রসিকবিল পিকনিক স্পট, কামাক্ষ্যাগুড়ি, বারোবিসা, অসম সহ অন্যান্য জায়গায় যেতে হয়। তাই এই সেতু সম্পূর্ণ তৈরি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে কোচবিহারবাসী।
আরও পড়ুনঃ জগদ্ধাত্রী পুজোয় চান্দামারির এবারের থিম 'মৌমাছির দেশ'
তবে এই কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ঋদম রায় বলেন, "এতদিন নদীতে জলস্তর বেশি থাকার কারণে সেতুর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। খুব শীঘ্রই আবার কাজ শুরু করা হবে।" এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির কাজ সম্পূর্ণ হলে উত্তর ধলপলের বর্মনপাড়া, ক্যাম্পেরঘাট, সাহাপাড়া সহ বিভিন্ন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ দারুন উপকৃত হবে। বর্তমানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে পারাপার করতে হয় তাদের। অসুস্থ রোগীকে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হলে অনেকটাই ঘুরপথে যেতে হয়।
আরও পড়ুনঃ জমি বিবাদের জেরে পুলিশের উপর দাদাগিরি স্থানীয় নেতার
কাজেই এই সেতুটির কাজ সম্পূর্ণ হলে কোচবিহার জেলার বহু মানুষ উপকৃত হবেন। স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কার্জী জানান, "শুরু থেকেই সেতুর কাজের মধ্যে নানা রকমের অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছিল। এছাড়াও সেতুর কাজ ধীর গতিতে চলছিল বহু দিন ধরেই। এভাবে সেতুর কাজ চললে আগামী পাঁচ বছরেও সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে না। বেশ কয়েক মাস ধরে তো সেতুর কাজ সম্পূর্ন বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে এলাকার মানুষেরা।"
Sarthak Pandit