এই লোকবিশ্বাসের কারণেই এই দেবতার মূর্তিকে দেখতেও ভয় লাগে। মোটামুটি ভাবে ২৪ রকমের মাশান ঠাকুর দেখতে পাওয়া যায় উত্তর-পূর্ব বাংলায়। এই দেবতা কখনও কখনও ঘোড়ায় চড়ে আসেন, আবার কখনও তার বাহন হয় মাছ। এই দেবতার নৈবেদ্যতে দেওয়া হয় দই-চিঁড়ে, চালভাজা, আটিয়া কলা। আবার কখনও পোড়া চ্যাং মাছ দিলেও খুশি হয়ে যান এই দেবতা।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপপ্রবাহের জ্বলুনি থেকে রেহাই কবে? আবহাওয়ার বড় খবর!
এছাড়া এই দেবতার রূপও হয় নানা রকম। কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমার ১ নং ব্লকের বড় কাওয়ার ডারা ঝিনাই কাঠি মাথাভাঙ্গা শীতলকুচি পাকা রাস্তার বাঁদিকে বাবার ধামে ৫৮তম বছরের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। মাথাভাঙা থেকে শীতলকুচি যাওয়ার পাকা রাস্তার বাঁদিকে এই পুজোতে বিপুল সংখ্যক ভক্তবৃন্দদের ভিড় উপচে পড়েছিল ওই এলাকায়।
আরও পড়ুন: চাকরি বিক্রিতে কে গুরু, কে শিষ্য? জীবন কৃষ্ণ ও কৌশিকের কাণ্ড শুনে চোখ কপালে দুঁদে গোয়েন্দাদেরও!
মাশান বাবার পুজো উপলক্ষে মেলা বসেছে এখানে। কেউ পাঁঠা, আবার কেউ পায়রা উৎসর্গ করেছেন বাবার উদ্দ্যেশ্যে। আবার দই চিড়ে দিয়েছেন বাবাকে ভোগ হিসেবে। মাশান ধামের পুজো দিতে আসা দুই পুণ্যার্থী কবিতা কার্জী এবং তপতী সাহা জানান, "প্রতি বছর মাশান বাবার এই পুজোর দিনে এখানে আসেন বহু মানুষ। বাবার কাছে যেটা প্রার্থনা করা যায়, সেটাই ফলে যায় বাবার কৃপায়। তাই বাবার কাছে এই প্রচুর ভক্তবৃন্দের ঢল নামতে দেখা যায়। তবে অনেক ভক্ত শুধুমাত্র বাবার দর্শন করে বাবার আশীর্বাদ নিতে আসেন।"
সার্থক পণ্ডিত