দীর্ঘ দু'বছর আগে নদী ভাঙনের জেরে এক নিমেষেই রীতিমতো জেরবার হয়ে গিয়েছিল এই সকল মানুষের জীবন। চোখের পলকে শেষ হয়ে গিয়েছিল জীবনের সর্বস্ব। চোখের সামনে নদীর গ্রাসে চলে গিয়েছিল আবাদি জমি ও বসত ভিটে। তখন থেকেই এলাকার কিছু স্থানীয় মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে তাঁদের।
আরও পড়ুন: রাতের কনকনে ঠান্ডা, শুনশান রাস্তা, হঠাৎ দুর্গাপুর স্টেশনে পঞ্চায়েত মন্ত্রী! কেন
advertisement
এখনও পর্যন্ত নদী ভাঙনের সময় খালি একটি ত্রিপল আর কিছু বস্তা চাল ছাড়া সরকারি সাহায্য কিছুই জোটেনি। দীর্ঘ সময় ধরে বহু প্রশাসনিক স্তরের কর্তারা এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন। প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তবুও মেরামত হয়নি। নতুন করে তৈরি করা হয়নি নদী বাঁধের অংশ। বর্তমান সময়ে এই মানুষেরা সরকারি সাহায্য কিংবা নতুন করে পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চেক না করেই বসানো হয়েছিল! সাঁতরাগাছিতে কাপলিং খুলে যাওয়ার ঘটনার সাসপেন্ড এক
এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, "স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনও রকমের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের। অনেকের তো জব কার্ড হয়নি এখনও পর্যন্ত। সরকারি আবাস যোজনার ঘরের লিস্টে নামও নেই। অনেকের তো জব কার্ডের নাম পর্যন্ত ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই সমস্ত মানুষের ভবিষ্যৎ দিনের বাঁচার লড়াই আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
তবে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কোনও রকমের উদ্যোগ নিতে নারাজ প্রশাসনিক স্তরের কর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার নেতৃত্বরাও। তবে হাল ছাড়তে নারাজ এই মানুষেরাও। বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সকলে মিলে।
Sarthak Pandit