আরও পড়ুন: মাঠে ঘাস কাটছিলেন, হঠাৎ বজ্রপাত! এক নিমেষে সব শেষ
উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টা একইভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা আরও চিন্তা বাড়িয়েছে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কৃষক, প্রতিমা শিল্পী, আমজনতা সকলের। সবজি ব্যবসায়ী বিনয় মণ্ডল জানান, এত বৃষ্টি হওয়ায় দোকানপাট এবং হাটবাজার খোলা থাকলেও দেখা নেই ক্রেতাদের। বাজারের মধ্যে একহাঁটু জল জমে আছে। কোচবিহার শহরের প্রায় সমস্ত রাস্তা সম্পূর্ণ জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে।
advertisement
এই বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। সবজি বাজার থেকে মাছ বাজার কার্যত একপ্রকার ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। রবিবার হওয়ার কারণে ব্যবসার কিছুটা আশা থাকলেই সে গুড়ে বালি ঢেলেছে এই ব্যাপক বৃষ্টিপাত। ক্রেতার উপস্থিতি নেই বেশির ভাগ দোকানে। কোচবিহারের এক বাসিন্দা বিষ্ণু রায় জানান, কোচবিহার সদর শহরের পুর এলাকার ১ থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত সমস্ত ওয়ার্ডের রাস্তা জলের নিচে। শহরের একটু উচুঁ রাস্তা আশ্রম রোড এবং ম্যাগাজিন রোড ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
একদিকে একটানা বৃষ্টি আর অপরদিকে জল নিকাশীর বেহাল দশা, যায় কারণে শহর থেকে জল নিষ্কাশন হচ্ছে না বিন্দুমাত্র। অন্যদিকে কোচবিহার সংলগ্ন নদীগুলির জল ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পুজোর প্যান্ডেল ও প্রতিমা নির্মাণ কাজ নিয়ে চিন্তা দেখা দিয়েছে শিল্পীদের। বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ তৈরির কাজও একপ্রকার বন্ধ হয়ে পড়েছে গত দু-তিন দিন ধরে। হাতে মাত্র ২৫ দিন বাকি বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গোৎসবের। আর এই আবহাওয়া পুজোর মুখে বড়সড় ক্ষতি করছে বলে দাবি প্রায় প্রত্যেক পুজোর উদ্যোক্তাদের। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কৃষি মহলে। বছরের এই মরশুমে ধান এবং শীতকালীন সবজির চাষ শুরু হয়ে যায়। তবে একটানা বৃষ্টির কারণে কৃষি জমিতে কাজ করতে পারছেন না কৃষকেরা।
সার্থক পণ্ডিত