এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা বর্মন জানান, ‘প্রায় ৪০ বছর আগে বিয়ে হয়ে এসেছিলেন এই এলাকায়। তবে তখন থেকেই দেখছেন এই এক পরিস্থিতি। সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। তবে দীর্ঘ সময় পরেও এই ভোগান্তির অবসান হয়নি। বাড়ি থেকে বেরোতে হলে বৃষ্টির নোংরা জমা জল পেরিয়ে চলাচল করতে হয়। বারবার এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে এই সমস্যা সমাধান হয়নি বিন্দুমাত্র। গোটা এলাকায় জল নিকাশি ব্যবস্থা আজও তৈরি করা হয়নি। তার মতন এলাকার অন্যান্য মানুষদেরও ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয় বৃষ্টির মরশুম এলেই। তাই তিনি অভিযোগ করেন স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরের কর্তাদের বিরুদ্ধে।’
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটেও এবার সিবিআই তদন্ত! বিডিও-র বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগে নির্দেশ হাইকোর্টের
আরও পড়ুন: পাওয়া যাবে তো ইলিশ? দিঘায় সমুদ্রে বিরাট শোরগোল! মৎস্যজীবীরা যা নিয়ে ফিরলেন!
এলাকার অন্য একজন বাসিন্দা সুবল বর্মন জানান, ‘বিগত বেশ কিছুদিন ধরে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে গোটা এলাকা থেকে জল বিন্দুমাত্র নামতেই চাইছে না। চলাচল করতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গ্রামের অধিকাংশ মানুষদের। দীর্ঘ সময় ধরে এই গ্রামের জল নিকাশি ব্যবস্থা নেই বিন্দুমাত্র। সেই জন্য বহুবার আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে তাঁদের আবেদনে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি স্থানীয় প্রসাশনিক স্তরের কর্তারা।’ আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আরতি বর্মন জানান, ‘এলাকার মানুষেরা বর্তমান সময়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরের কর্তাদের ওপর। যেভাবে দিনের পর দিন এই রকম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তার জেরে জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষের। তাই এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি চায় এলাকার মানুষ।’
কোচবিহার খবর (Cooch Behar News)
Sarthak Pandit