কোচবিহারবাসি তথা পরিবেশপ্রেমীদের একাংশের অভিযোগ, "বাড়ির আবর্জনা থেকে শুরু করে, শৌচাগারের জল পর্যন্ত মিশতে দেখা যাচ্ছে দীঘি গুলির মধ্যে। কোথাও কোথাও আবার দেখি দখলও হয়ে গিয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দীঘির জীব বৈচিত্র।" শহরের অধিকাংশ দীঘির মতোই শিবদিঘিও রাজ আমলে খনন করা হয়েছিল। তবে বর্তমান সময়ে এই দীঘিটিরও দৈন্যদশা। কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে দিঘিটি। দিঘির চারিপাশার বাড়ির ব্যবহৃত নোংরা জল মিশছে দীঘিটির মধ্যে। তবে এ বিষয়গুলি নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবনা নেই কোচবিহারের জেলা প্রশাসনের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রেশন দোকানের মাল তছরুপের অভিযোগ ডিলারের বিরুদ্ধে! বিক্ষোভ বাসিন্দাদের
একটা সময় এই দীঘিটি দেবোত্তর ট্রাস্টবোর্ডের অধীনে থাকলেও। বর্তমানে এই দীঘিটির দায়িত্ব রয়েছে কোচবিহার মৎস্য দপ্তরের ওপর। তবে তাদের পক্ষ থেকেও কোনরকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি এই বিষয়টি সম্পর্কে। কোচবিহার শহরের অন্যতম হেরিটেজ এই দীঘিটির দৈন্যদশা নিয়ে সবাই যেন নীরবতা পালন করছে। এলাকার স্থানীয় কিছু বাসিন্দাদের বক্তব্য, "একটা সময় এই দীঘিটির জল ব্যবহার করা হতো দিঘির উল্টো দিকে অবস্থিত শিব মন্দিরের পুজোয়। তবে বর্তমান সময়ে এই দীঘিটির জল ব্যবহারের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু বাড়ির নিকাশের জল এই দিঘীটিতে মিশছে। এছাড়াও দীঘিটি সম্পূর্ণ কচুরিপানায় ভর্তি হয়ে রয়েছে।"
আরও পড়ুনঃ অপরিষ্কার অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিসর্জন ঘাট! দ্রুত পরিষ্কারের দাবি স্থানীয়দের
দ্রুত এই দীঘিটিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করুক কোচবিহার জেলা প্রশাসন এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে রাজ আমলের হেরিটেজ কিছুসংখ্যক দিঘীর প্রতি কেন এই তীব্র অবহেলা! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পরিবেশপ্রেমী মহলে।
Sarthak Pandit