কোচবিহার দেবত্র ত্রাস্টের অধীনের এই পুজো ঘিরে আজও মন্দির চত্বরে ভিড় জমায় হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ। মহকুমা শহর দিনহাটা থেকে আট কিলোমিটার দূরে শিঙিমারি নদীর তীরে ক্ষুদ্র জনপদ গোসানিমারি। আর এখানেই দেবী কামতেশ্বরীর বহু প্রাচীন মন্দির রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬৫ ফুট লম্বা কালী প্রতিমা! শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে উৎসবের মেজাজ মন্দিরবাজারে
advertisement
গোসানিমারি থেকে দক্ষিন দিক বরাবর সিতাইয়ের রাস্তায় কিছুটা এগোলেই গোসানিমারি হাই স্কুলের উল্টো দিকে পড়বে এই কামতেশ্বরী মন্দির। এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও বর্তমান মন্দিরটি কোচবিহার মহারাজা প্রাণনারায়নের আমলে ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় বলে মন্দিরের দেওয়ালে খোদাই করা রয়েছে।
এই মন্দিরের পুরোহিত পরিতোষ ঝাঁ বলেন, “সারাবছর এই মন্দিরে দেবী কামতেশ্বরীর পুজো হয়। তবে শরৎকালে এই দেবী কামতেশ্বরী দুর্গা রূপে পূজিত হন, আর কার্তিককে দীপাবলীতে দীপান্বিতা কালী রূপে পূজিতা হন। মাঘ মাসে রটন্তী কালী রূপে তাঁর পুজো হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়মেই পুজো হয়ে আসছে এখানে।”
আরও পড়ুন: কুমোরটুলির প্রতিচ্ছবি হাওড়ার এই গ্রাম! প্রতিমার বৈচিত্র্য অবাক করবে
মন্দিরে পুজো দিতে আসা দুই পর্যটক বিশ্বনাথ বর্মন ও সৌরভ দেবনাথ বলেন, “দীর্ঘ প্রাচীন এই মন্দির সকলের কাছে পরিচিত জাগ্রত মন্দির রূপে। এই মন্দিরের দেবী কামতেশ্বরীর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে পুজো করা হয়। এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়েও একাধিক লোকমত প্রচলিত রয়েছে। তবে কবে এই মন্দিরের স্থাপনা সেটি সঠিক জানতে পারা যায়না। তবে বিভিন্ন পুজোর দিনগুলিতে এই মন্দিরে প্রচুর পরিমাণে দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের ভিড় জমে। এই মন্দিরে পুজো দিতে হলে সকাল ৯টার মধ্যে আসতে হয়।”
Sarthak Pandit