কোচবিহারের দিনহাটা ২ নং ব্লকের এক পাট চাষি মুজাহিদ হোসেন জানান, “বর্তমান সময়ে বিভিন্ন রকম চাষাবাদের ক্ষেত্রে জৈব সারের চাইতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার অনেক বেশি পরিমাণে করা হয়। তবে এই রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণের জল সেচ। তবে এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা না মেলার কারণে সমস্যা হচ্ছে পাট চাষীদের। তিনি নিজেও প্রায় ১০ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। বর্তমানে তার জমির বেহাল দশা তীব্র গরমের ফলে। অধিকাংশ পাটগাছ মরে গিয়েছে তাঁর জমির। এছাড়াও ফাটল ধরে গিয়েছে পাট চাষের জমিতে। তাই বর্তমানে একপ্রকার নিরুপায় হয়েই পাম্পের মাধ্যমে জল সেচ করতে হচ্ছে তাঁকে। তবে বৃষ্টির আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টির দেখা না পেলে সমস্যা আরও বেড়ে উঠবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: টানটান যৌবন! দাঁত, হাড়, সর্দি-কাশি-জ্বরে একটা টমেটোই করবে কামাল! জানুন কীভাবে খাবেন!
আরও পড়ুন: কোন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস? রইল টাইমটেবল!
এই পাট চাষ অত্যন্ত লাভজনক চাষিদের জন্য। কোচবিহারের চাষিদের একাংশ অর্থকরী ফসল হিসাবে এই পাট চাষ করে থাকেন। তবে বছরের এই সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি থাকে বলে পাট চাষ করতে সুবিধা হয় পাট চাষিদের। তবে এই বছর এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা সেরকম ভাবে মেলেনি। এছাড়াও বহুদিন যাবৎ জৈব সারের চাইতে রাসায়নিক সার বেশি ব্যবহার করে থাকছেন পাট চাষিদের একাংশ। তার ফলে জমিতে পর্যাপ্ত জল সেচ না দিলে পাট গাছের ক্ষতি সমস্যা থাকছে। পাট চাষী মোজাহিদ হোসেন আরোও জানান, “আবহাওয়া দফতর থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যদি কোন কারণে বৃষ্টির দেখা না পাওয়া যায় তবে কোচবিহারের পাট চাষিদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।”
Sarthak Pandit