প্রত্যেকটি মোহন শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিল। মন্দির কমিটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং খাদ্যের অভাব দীর্ঘদিন থেকেই দেখা দিয়েছে। বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনকি দিঘির জল দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়েও বারংবার জানানো হয়েছিল মন্দির কর্তৃপক্ষকে। মন্দির থেকে অবশ্য এই কচ্ছপের খাওয়ার হিসেবে প্রত্যেকদিন মন্দিরের প্রসাদ দেওয়া হয়ে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জাতীয় সড়কের পথ দুর্ঘটনা! ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখী সংঘর্ষে জখম ২
তবে সেই খাওয়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় পর্যাপ্ত নয় এই কচ্ছপের জন্য। শেষ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট ৮৩-র উপরে মোহন রয়েছে এই শিব দিঘিতে। যারা পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না বলেই দাবি স্থানীয়দের। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এদিন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জলে নেমে এই মোহনদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এবং সেই সাথে তাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করায়। এই প্রসঙ্গে মহোন রক্ষা কমিটির সভাপতি পরিমল বর্মন বলেন, "প্রশাসনকে দীর্ঘদিন থেকে মোহনের বিষয়ে অবগত করা হচ্ছে। তাদের পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ চিকিৎসা এবং খাদ্যের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু, কোন এক অজ্ঞাত কারণবশত তা হয়ে ওঠেনি।
আরও পড়ুনঃ ফিরিয়ে দাও অরণ্য! ৫০ তম বছরে কোচবিহার ডিএনপি স্পোর্টিং ক্লাবের থিম এটাই
স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের মতো করে মহোন রক্ষা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তাতেও বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। আমরা অবিলম্বে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে দাবী জানাচ্ছি এই সমস্যা মেটানোর। মোহন কোচবিহারের বাসিন্দাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে জেলার বুকে। গোটা কোচবিহারে শুধুমাত্র বানেশ্বরের এলাকাতেই সব থেকে বেশি সংখ্যক মোহন পাওয়া যায়। তাদের সুরক্ষা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।"
Sarthak Pandit