মহালয়া মানেই পিতৃপক্ষের অবসান আর দেবীপক্ষের সূচনা। তাই দেবীর দুর্গার মূর্তির চক্ষুদান করা হয় মহালয়ার দিনে। সেই কারণে মহালয়ার আগের রাতে রীতিমতো রাত জেগে প্রতিমা কারিগরেরা দেবীর চক্ষুদান করেন। দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে এই কাজ করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন – India vs Pakistan: আজ তো পাকিস্তানের পাত্তা সাফ, ফের এই বিশ্বকাপে কী করে হতে পারে ভারত বনাম পাক লড়াই
advertisement
কোচবিহারের এক মহিলা প্রতিমা শিল্পী শম্পা পাল জানান, দীর্ঘ ২৫ থেকে ৩০ বছর থেকে এই কাজ করছেন তিনি। তবে তাঁকে কেউ হাতে ধরে শেখায়নি। তিনি এই বাড়িতে বিয়ে হয়ে আসার পর নিজের ইচ্ছেতে এই কাজ শিখেছেন। তবে প্রতি বছর তিনি বেশ অনেকগুলো দেবী প্রতিমার চক্ষুদান করেন। মায়ের এই চক্ষুদান করতে দারুন ভালো লাগে তাঁর। তাই আগামী দিন গুলিতেও তিনি এই কাজ করতে চান। কোচবিহারের এক প্রতিমা কারিগর রবি পাল জানান, “এই বছরে তিনি প্রায় আনুমানিক ২৫টি থেকে ৩০টি ঠাকুরের চক্ষুদান করেছেন।”
কোচবিহারের আরেক প্রতিমা কারিগর পুলক পাল জানান, “এখনও পর্যন্ত কতগুলি প্রতিমার তিনি চক্ষুদান করেছেন তা গুনে বলা সম্ভব নয়। এছাড়া এই সময়টাতে মায়ের প্রতিমা তৈরির হয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে যাওয়ার জন্য রেডি হয়। ভালো লাগার সঙ্গে একটা আবেগ ও কাজ করে। তবে সব মিলিয়ে মহালয়ার আগের রাতের অনুভূতি যেন এক অন্য মাত্রা যোগ করে প্রতিমা কারিগরদের জীবন জীবিকাতে।” দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়ম মেনেই চলে কোচবিহারের প্রতিমা কারখানা গুলিতে দুর্গা প্রতিমার চক্ষুদান। এছাড়া এই নিয়ম মেনে তাঁরা কাজ করছেন কয়েক প্রজন্ম ধরে।
Catch Special Coverage on দুর্গা পূজা 2023 | Durga Puja 2023 Celebration in West Bengal , বাঙালির দুর্গাপূজা 2023 :- দুর্গা পূজা 2023 রেসিপি | দুর্গা পূজা 2023 রেস্তোরাঁ | দূর্গা পূজা 2023 ফ্যাশন | দূর্গা পূজা 2023 ফটো | দূর্গা পূজা 2023 ভিডিও
Sarthak Pandit