বহু সময় ধরেই এই সমস্যা সহ্য করে আসছেন দুই পাড়ের মানুষ। এই পারাপারের সুযোগটিও যদি না থাকতো। তবে প্রায় ১০-১২ কিমি পথ ঘুরে চলাফেরা করতে হত তাদের। তবে এই গোটা বিষয়টি নিয়ে কোন প্রকারের মুখ খুলতে রাজি নয় কোচবিহার জেলা প্রশাসন। তবে এখানকার এক ফেরী চালক বিপুল সাহানি বলেন, “এই পারাপারের ঘাটটি যখন তিন থেকে চার মাসের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। তখন অন্যান্য মানুষের পাশাপাশি এই ফেরী ঘাট সংলগ্ন ছয়-সাতটা অঞ্চলের মানুষদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে কোন রকম সরকারি সহায়তা আসে না। তবে সরকার পক্ষের কিছু লোক এই সংস্থাটাকে বানিয়েছে এবং চালাচ্ছে। আর আমরা এই সংস্থায় প্রায় ৭০টি পরিবার কাজ করছি।”
advertisement
আরও পড়ুন - মাথাভাঙ্গাতেই চাষ হচ্ছে চিতল! জামাই ষষ্ঠীতে এবার টাটকা-তাজা চিতলের স্বাদ
আরও পড়ুন - বিশ্ব সাইকেল দিবসে র্যালি কোচবিহারে
এই ফেরী ঘাটের ভরসায় এখানে প্রচুর ছোট ছোট দোকান শুরু হয়েছে। তবে যখন পারাপার কিংবা ফেরী চলাচল বন্ধ হয়ে থাকে তখন এরাও ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এলাকার এক স্থানীয় ব্যবসায়ী আরতী বিশ্বাস জানান, “যদি এখানে একটি পাকাপাকি ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তবে আমাদের খুব ভালো হয়। কারণ আমরা তো এই ঘাটের আশায় দোকান খুলে বসেছি।”
তবে এই এলাকাটি যে বিধানসভা অঞ্চলের অন্তর্গত সেই কোচবিহার দক্ষিন বিধানসভার বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দের বক্তব্য, “দেখুন যেহেতু এই ফাসির ঘাটের সেতু দীর্ঘ দিনের এই এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী। সেহেতু আমি বিধানসভাতে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। তবে আমি এখনও পর্যন্ত এর কোন সদুত্তর পাইনি।”
সার্থক পন্ডিত