Cooch Behar: মাথাভাঙ্গাতেই চাষ হচ্ছে চিতল! জামাই ষষ্ঠীতে এবার টাটকা-তাজা চিতলের স্বাদ
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
করোনা অতিমারী কাটিয়ে সবকিছু এখন স্বভাবিক ছন্দে। এবার তাই জমজমাট হতে চলেছে জামাই ষষ্ঠী। জামাইদের পাতে চিতল মাছ, কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সমস্ত শ্বশুরবাড়ির অন্যতম প্রধান চাহিদা।
মাথাভাঙ্গা: করোনা অতিমারী কাটিয়ে সবকিছু এখন স্বভাবিক ছন্দে। এবার তাই জমজমাট হতে চলেছে জামাই ষষ্ঠী। জামাইদের পাতে চিতল মাছ, কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সমস্ত শ্বশুরবাড়ির অন্যতম প্রধান চাহিদা। প্রত্যেক বছর জামাই ষষ্ঠীতে তাই চওড়া দামেই বিক্রি হয় এই চিতল মাছ। কিন্তু এবার হয়তো কিছুটা পরিবর্তন হতে চলেছে পরিস্হিতির। কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের অন্যতম মাছ পাগল মানুষ হিসেবে পরিচিত মাথাভাঙ্গার এক নাম্বার ব্লক এর মৎস চাষী লক্ষীকান্ত বর্মন নিজের পুকুরে চাষ করেছেন প্রচুর চিতল মাছ। ইতিমধ্যেই প্রতিটি মাছের ওজন হয়ে গিয়েছে ৫ কেজির উপরে রয়েছে। লক্ষী বাবু বলেন, \"শুধু কোচবিহারেই নয় ময়নাগুড়ি, ফালাকাটা, জলপাইগুড়ি এমনকি নিম্ন আসামের একটি বড় অংশতেও এবার চিতল মাছ বিপণন হবে তারই পুকুর থেকেই। ইতিমধ্যেই কয়েকশো ব্যবসায়ী মাছের জন্য যোগাযোগ করেছেন তার সাথে। সুলভ মূল্যে এই মাছ বাজারজাত করা সম্ভব হবে।\" জামাই ষষ্ঠী আসতেই চিতল মাছের চাহিদা অত্যন্ত রকম ভাবে বেড়ে যায়। তাই প্রতিবছর চড়া দামে বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় চিতল মাছ।
কেজি প্রতি দাম পড়ে বারোশো থেকে চৌদ্দশ টাকা। চড়া দাম থাকায় অনেক সময় বিক্রি হয় না সব মাছ। অনেক ব্যবসায়ী তাতে ক্ষতির সম্মুখীন হন। কিন্তু এবার চিতল মাছের যোগান স্থানীয়ভাবে হচ্ছে। সুতরাং আমদানির বিশেষ খরচ হবে না এবং ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এছড়াও বাইরে থেকে আমদানি করা মাছ বরফ দিয়ে নিয়ে আসা হয়। সেটা তো আর টাটকা-তাজা মাছ থাকে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব সাইকেল দিবসে র্যালি কোচবিহারে
তবে কোচবিহারের থেকে এই মাছ বাজারে বিক্রির জন্য আসলে টাটকা তাজা মাছ কেনা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন অনেকে। এবারে তাই জামাইষষ্ঠীতে জামাইদের পাতে টাটকা চিতল তুলে দিতে পারবেন শ্বশুর মশাইয়েরা। কোচবিহারে প্রচুর পূর্ববঙ্গের মানুষও রয়েছেন। এবং চিতল মাছের মুইঠ্যা অত্যন্ত জনপ্রিয় পূর্ববঙ্গের মানুষদের বাড়িতে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ বৈরাগী দিঘীতে বন্ধ পড়ে আছে কাস্টমাইজড শো অ্যাকুয়াস্ক্রিন! নষ্ট হচ্ছে ইকো সিস্টেম
সেই সব বাড়ির জামাইরাও সেটা খুব পছন্দ করে। তাই এবারে আর বরফ দেওয়া চিতল মাছের মুইঠ্যা নয়, একেবারে টাটকা তাজা মাছের স্বাদ নিতে পারবেন তারা। কিন্তু, লক্ষী বাবু আরও বলেন, \"জামাই ষষ্ঠীতে চিতল মাছের এই জোগানের পরিকল্পনা তার হ্যাচারি তৈরীর পর থেকেই শুরু হয়েছে। চিতল মাছের পাশাপাশি কাতল মাছ এবং রুই মাছও রয়েছে তার পুকুরে। সেটাও বিক্রি হবে।\"
advertisement
লক্ষীকান্ত বর্মনের ঠিকানা:
গ্রাম- ভোগ রামগুড়ি, গোপালপুর অঞ্চল, মাথাভাঙ্গা ব্লক, জেলা- কোচবিহার
লক্ষীকান্ত বর্মনের মোবাইল নম্বর: ৯৯৩৩৮৭৭০২৮
Sarthak Pandit
Location :
First Published :
June 04, 2022 7:34 PM IST